নয়াদিল্লি: করোনা ভাইরাস নিয়ে একদিকে যখন চিন্তার মেঘ গোটা দেশবাসীর কপালে। তখনই বিশেষজ্ঞরা শিশুদের ব্যাপারে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর দিল। এদিন এক বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ জানান, নভেল করোনা ভাইরাসে (novel coronavirus) আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর আর. সোমাসেকর (Prof R Somasekar) এ বিষয়ে বলেন, কোভিড-19 (Covid-19) এখনও শিশুদের মধ্যে মাঝারি পর্যায়ে ছড়িয়েছে। আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে বেশিরভাগেরই উপসর্গবিহীন। এমনকি মাত্র ১ থেকে ২ শতাংশ আক্রান্ত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে।

এদিন এক বিশেষ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। যেখানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কিভাবে বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখা যায়, তার জন্য কী কী ব্যবস্থা করতে হবে, সেসব বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।

এই ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫০ জন। সেখানে বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন স্কুলের ছাত্ররাও।

বিশেষজ্ঞের মতে, কোভিড-19 (Covid-19) এখনও সেভাবে বাচ্চাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। তা বলে বাচ্চাদের নিয়ে একেবারে নিশ্চিন্ত হলে চলবে না। ভবিষ্যতে শিশুরা যাতে সুরক্ষিত থাকে, তার জন্য এখন থেকেই শারীরিক কসরত, শিশুদের সঙ্গে খেলা, জাঙ্ক ফুড এড়ানো, ভালো ঘুম, সর্বদা মাস্কের ব্যবহার, এবং সঠিক সময়ে টিকাকরণের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চার ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন হচ্ছে কিনা সেদিকেও বাবা-মাকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, দেশের করোনা গ্রাফও কিন্তু বেশ নিম্নমুখী। এক ধাক্কায় অনেকটাই নামল করোনার (COVID-19) গ্রাফ। শুক্রবারের তুলনায় শনিবার প্রায় ১২ হাজার কমে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা।

এদিকে আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল ল্যানসেট তাঁদের গবেষণায় দাবি করেছে, করোনা আক্রান্ত হলে আগামী ১০ মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ কম। জানা গিয়েছে, ২০০০ জনের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। অ্যান্টিবডি পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের ওপর নজর রাখা হয়েছিল। আবাসিক ও কর্মীদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের শরীরে অ্যান্টিবডি টেস্টের ফল পজিটিভ এসেছে। যার থেকে তাঁদের আগে করোনা আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মেলে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.