আক্ষরিক অর্থেই দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক
তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সংগঠনের সভাপতি ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যুব সভাপতি হয়েই তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড হয়ে গিয়েছিলেন কার্যত। সেখান থেকে তাঁর উত্তরণ হল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে। পার্টির ওই পদে ছিলেন মুকুল রায়, এবার সেই পদে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বলাই যায় তিনি আক্ষরিক অর্থেই দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিচের পদেই অভিষেক
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সভাপতি। তার নিচের পদটাই হল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এবার সেই পদে এলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সই বিচারে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তো বটেই। যদিও মুকুল রায়ের দলত্যাগের আগে থেকেই তিনি সেকেন্ড ইন কম্যান্ড হয়ে উঠেছিলেন কার্যত। মুকুলকে সরিয়ে অভিষেক তাঁর জায়গা নিতে চাইছেন বলে অভিযোগও ছিল তৃণমূলে।
জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে তুলে ধরার উদ্যোগ
একুশের ভোটে সাফল্য আসার পর ২০২৪-এর লোকসভা ভোটকে সামনে রেখে তৃণমূল কংগ্রেস অঙ্ক কষতে শুরু করে দিলেন। সংগঠনে রদবদল করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্ব আরোপ করতে চাইছেন। এদিন ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে সেই সিদ্ধান্তই রূপায়িত হল। অভিষেক বন্যোএদপাধ্যায়কে যুব সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূলকে তুলে ধরার উদ্যোগ নিলেন মমতা।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নামে নয়, কাজেও সেকেন্ড
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু নামে নয়, তিনি যে কাজেও সেকেন্ড ইন কম্যান্ড তা বুঝিয়ে দিয়েছেন একুশের নির্বাচনে। একুশের নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেকই বাংলা চষে বেড়িয়েছেন এবং তৃণমূলকে কাঙ্খিত জয় এনে দেওয়ার অন্যতম কাণ্ডারি হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এবার তাঁকে কাণ্ডারি করে ২০২৪-এর নির্বাচনেও সাফল্য পেতে চাইছে দিল্লির রাজনীতিতে।
মোদী-শাহকে পাল্টা দিতে অভিষেকই অগ্রণী
একুশের বাংলার নির্বাচনী-পর্বে যেভাবে তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী ও অমিত শাহ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করছেন, তাতে তাঁর রাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকেও বেশি করে তাঁরা অভিষেককে নিশানা করছেন। ফলে অভিষেকের গুরুত্ব যেহারে বেড়েছে, তাতে ২০২৪-এ মোদী-শাহকে পাল্টা দিতে তিনি তো অগ্রণী হবেনই।
অভিষেকের কাঁধে এবার গুরুদায়িত্ব বর্তাল
আর রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করে, অভিষেক রাজনীতিতে সাবালক হয়ে উঠেছেন। যতই শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে নাবালক রাজনীতিবিদ হিসেবে হেয় করুন না কেন, একুশের নির্বাচনে অভিষেক দেখিয়ে দিয়েছেন তাঁর ক্ষমতা। এবার তাঁকে জাতীয় রজানীতির ময়দানে নামিয়ে ফসল ঘরে তুলতে উদ্যোগী হলেন মমতা। আক্ষরিক অর্থেই দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেকের কাঁধে এবার গুরুদায়িত্ব বর্তাল।