কালীঘাটে বৈঠক মমতার
কালীঘাটে দলে সাংগঠনিক বৈঠকে একাধিক বিষয়ে সদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে বেশ কিছু সাংগঠনিক পদে পদাধিকারী রদবদল করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়তে বসানো হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি পদে। প্রশান্ত কিশোরকে পাশে নিয়েই উন্নততর তৃণমূল গঠনের সূচনা করলেন তিনি। এক ব্যক্তি এক পদ অর্থাৎ যিনি মন্ত্রী হবেন তিনি সভাপতি হতে পারবেন এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তুলে আনা হয়েছে যুব নেতাদের।
মদন মিত্রকে বার্তা
কালীঘাটের বৈঠকে মদন মিত্র সহ দলের সব নেতাকে সতর্ক করে আচরণ বিধি বলে দিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট নিয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। যা খুশি তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে পারবেন না জনপ্রতিনিধিরা। কয়েক ঘণ্টা আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কামারহাটির দায়িত্ব চেয়েছিলেন মদন মিত্র। যদিও সেটি পরে তুলে নেন তিনি। সেটা ইঙ্গিত করেই সম্ভবত মদন মিত্রকে সতর্ক করা হয়েছে।
আর্জি শুনলেন না মমতা
আর্জি শুনলেন না মমতার। ফেসবুকে মদন মিত্র দলনেত্রীকে অনুরোধ করেছিলে, মন্ত্রীত্ব চান না প্রয়োজনে বিধায়ক পদ েথকেও ইস্তফা দিতে তিনি রাজি। কামারহাটির পুর প্রশাসক পদে বসানো হোক তাঁকে। ৩ মাসের মধ্যে কামারহাটির উন্নন করে দেবেন তিনি। সেই ভিডিও পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটা তিনি তুলে নেন। তাতে স্পষ্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি অনুরোধ করেছিলেন তাঁর উপর ভরসা করে দেখুন।
মদন মিত্রের বার্তা
যদিও কালীঘাটের বৈঠক থেকে বেরিয়ে মদন মিত্র দাবি করেছেন তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে কোনও বিষয়ে সতর্ক করা হয়নি। উল্টে আরও বেশি করে ফেসবুকে সুন্দর সুন্দ পোস্ট করতে বলা হয়েছে। তৃণমূলে যুব শক্তিকে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪-এ দেশ থেকে বিজেপি হঠাও এবং ২০১৬-এ বাংলায় ফের তৃণমূল লাও এই লক্ষ্যে কাজ করে যেতে বলা হয়েছে দলের নেতাদের।