নেপিদ: সরকারি কোনও বার্তা নেই। আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলি নিশ্চিত নয় ঠিক কী ঘটেছে। কিছু স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বার্তা উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানাচ্ছে, মায়ানমারে ফের গণহত্যা ঘটালো সামরিক সরকার। অন্তত ২০ জন গ্রামবাসীকে গুলি করে মেরেছে সেনা। অভিযোগ, ওই গ্রামবাসীরা সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায়।

রয়টার্সের খবর, প্রধান শহর ইয়াঙ্গন থেকে কমবেশি দেড়শ কিলোমিটার দূরে ইরাবতী নদীর বদ্বীপ একটি গ্রামে ঘটেছে সেনা ও গ্রামবাসীদের সংঘর্ষ। স্থানীয় সূত্র থেকে খবর, গ্রামবাসীরা তীর ধনুক নিয়ে একযোগে সেনার উপর হামলা চালায়। এর পরেই গুলি চালায় বর্মী সেনাবাহিনি। এই এলাকাটির নাম হালায়াসওয়ে।

গত চারমাস ধরে গণতন্ত্র রক্ষার দাবি ও সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বর্মী জনগণ গণআন্দোলন চালাচ্ছেন। শতাধিক মৃত্যু হয়েছে। ফের ঠাণ্ডা মাথায় গণহত্যা চালাচ্ছে মায়ানমারের সামরিক সরকার, এমনই অভিযোগ। রাষ্ট্রসংঘ ও আন্তর্জাতিক জনমতকে উড়িয়ে দিয়েই সরকার চালাচ্ছে বর্মী সেনা।

বন্দি দেশের সর্বচ্চো নেত্রী আউং সান সু কি। তিনি কোথায় কেউ জানে না। বিবিসি সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, সু কি এখন বর্মী সেনার গোপন ডেরায় নজরবন্দি। ইয়াঙ্গন শহরে সু কি এর বাসভবন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নির্বাচিত সরকারের প্রেসিডেন্ট সহ সবাই নজরবন্দি। দলনেত্রী সু কি কে মুক্ত করার দাবিতে এনঅলডি আত্মগোপনকারী নেতৃত্ব গণবিক্ষোভে অনড়।

গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমারে ঘটে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থান। নির্বাচিত সরকার কে ফেলে দেয় বর্মী সেনা। তাদের অভিযোগ, ভোটে বিস্তর কারচুপি হয়েছে। ক্ষমতা দখলের পর সেনার তরফে বলা হয় নির্দিষ্ট সময় পরেই গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে ফের নির্বাচন করা হবে।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই সেনা শাসনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন বর্মী জনগণ। তাঁদের দাবি, যে সরকার ভোটে জিতে এসেছে তাকেই ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। বিক্ষেভে উত্তাল মায়ানমার তারপর থেকেই রক্তাক্ত।

বিবিসি জাননিয়েছে, সু কি এর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ছড়ানো সহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে বিচার চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে সামরিক সরকার। নোবেল জয়ী সু কি রোহিঙ্গা গণহত্যার সময় সেনার বিরুদ্ধে নীরব ছিলেন বলে বিশ্বজুড়ে প্রবল ধিকৃত হন। পরে আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেনার ভূমিকা কে সমর্থন করেন। লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মায়ানমার ত্যাগ করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সেনার পক্ষ নিলেও অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনির চক্ষুশূল সু কি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.