করোনা মোকাবিলায় অভিযোগ
মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে দেশে করোনা পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিল। সেই সময় দিনে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় ৪ লক্ষে, আর মৃত্যুর সংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৪ হাজারের মতো। সেই পরিস্থিতিতে দেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা সঠিক ভাবে সামনে না আসার অভিযোগ তোলা হয়েছিল বিভিন্ন সংস্থার তরফে। অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি বিষয়টি নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করেছিলেন।
সরকারে বিভ্রান্তি
এই প্রসঙ্গ নিয়ে বলতে গিয়ে অমর্ত্য সেন সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় ভারত তার শক্তি পুরোপুরি দেখাতে পারছে না। কেননা বিষয়টি নিয়ে সরকারের মধ্যেই বিভ্রান্ত রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অমর্ত্য সেন বলেন, মহামারী যাতে দেশে ছড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করার থেকে সরকার করোনা নিয়ন্ত্রণের দাবি করতেই ব্যস্ত। যার ফলে স্কিৎজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তিনি বলেছেন, সরকার বিশ্ব জুড়ে বলার চেষ্টা করেছিল, ভারতই বিশ্বকে বাঁচাতে পারে। একইসঙ্গে দেশে সমস্যাও বেড়ে চলতে থাকে।
প্রভাব পড়েছে ভারতে
অমর্ত্য সেন বলেছেন, ভারত ইতিমধ্যেই সামাজিক বৈষম্যের শিকার হয়েছে। দেশের বৃদ্ধি কমে গিয়েছে। বেকারত্বও শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে এই মহামারীর সময়ে। অর্থনীতিতে ব্যর্থতা, সামাজিক সংহতিতে ব্যর্থতা মহামারী মোকাবিলার ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেছেন, শিক্ষায় সীমাবদ্ধতার কারণে উপসর্গ এবং চিকিৎসরার প্রোকোকলে অসুবিধা তৈরি করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
মহামারী মোকাবিলায় ভাল জায়গায় ভারত
মুম্বইয়ে রাষ্ট্র সেবাদলের এক অনুষ্ঠানে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ বলেন, মানুষের ইমিউনিটি লেভেল বেশি থাকায় এবং দেশে প্রচুর ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা থাকায় ভারত করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে।