কলকাতা: নোভেল করোনা ভাইরাসের এই মহামারীর সময়ে নিজেকে সুস্থ্য রাখা সবথেকে বড়ো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। করোনা ভাইরাস কবে নিয়ন্ত্রণে আসবে তা আমাদের সকলেরই অজানা। আর সেই কারণে এই পরিস্থিতিতে সুস্থ্য থাকার অস্ত্র হিসেবে যে নামটা বারংবার উঠে আসছে তা ইমিউনিটি। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, শরীরে ইমিউনিটি বেশি থাকলে ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। সেই কারণে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে শরীরের ইমিউনিটি বাড়াতে হবে আমাদের সকলকেই।

অন্যদিকে আবার সংক্রমণের রাশ টানতে বেশকিছু মাস ধরে দেশে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ প্রক্রিয়া। তার কারণ অনেক বিশেষজ্ঞ জানাচ্ছেন চলতি বছরের শেষে দেখা দিতে পারে করোনার তৃতীয় ঢেউ। তবে ভাইরাসের এই ঢেউ বেশি উদ্বেগ বাড়াতে পারে শিশুদের মধ্যে। আর শিশুদের জন্য এখনও করোনার টিকার সন্ধান না মেলায় ভরসা সেই ইমিউনিটি। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের খাবারের প্লেটে অভিভাবকদের এমন খাবার রাখা উচিত, যাতে বাচ্চাদের শরীরে বৃদ্ধি পায় ইমিউনিটির পরিমাণ।

১. ফল –ফল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজলে বোধহয় খুব কমই পাওয়া যাবে। তবে হয়তো অনেকেই জানেনা যে, ফলে স্বাদের সঙ্গে লুকিয়ে থাকে একাধিক গুণ। আর সেই কারণে চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, বাচ্চাদের শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে খাবারের পাতে রাখা যেতে পারে ভিন্ন রকমের ফল।

২. ভাত – অনেক বাচ্চা আছে যারা ভাত খেতে পছন্দ করে না। তবে এই সময়ে খানিকটা জোর করে হলেও বাচ্চাদের ভাত খাওয়ানো উচিত। তার কারণ ভাতে রয়েছে এক বিশেষ ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড (amino acid)। বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য রাতের খাবারের প্লেটে ভাত (rice), ডাল (Dal) এবং ঘি (ghee) রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

৩. লাড্ডু – বাচ্চারা মিষ্টি জিনিস খেতে খুব পছন্দ করে। তবে চলকেট বা অন্যান্য খাবার বাদে মিষ্টি হিসেবে বাচ্চাদের দেওয়া যেতে পারে রুটি, ঘি এবং গুড়ের তৈরি রোল বা সুজির হালুয়া। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, শুধু বাচ্চা নয় সকলের সন্ধ্যা বেলায় স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর কিছু খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪. আচার – বাচ্চাদের খাবারের তালিকায় মাঝে মধ্যে বাড়িতে তৈরি আচার বা নানা ধরণের চাটনি যুক্ত করা যেতে পারে। এই সাইড ডিশগুলি বাচ্চাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.