ভোটের প্রচার পর্বেই মুকুলের প্রশংসায় মমতা
বিধানসভা ভোটের প্রচার পর্বে মুকুল রায়ের প্রশংসা শোনা গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। তিনি বলেছিলেন, মুকুল শুভেন্দুর মতো এত খারাপ নয়। মুকুল রায়কে কৃষ্ণনগর উত্তের টিকিট দেওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, থাকে কাঁচড়াপাড়ায়, আর ব্যারাকপুর, জগদ্দল, ভাটপাড়ায় না নিয়ে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কৃষ্ণনগরে। ভোটের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এইসব মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই।
ভোটের ফল বেরনোর পরেই করোনায় আক্রান্ত মুকুল
ভোটের ফল বেরোনোর পরেই করোনায় আক্রান্ত হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। সঙ্গে আক্রান্ত হন তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা রায়ও। এই সপ্তাহে মুকুল রায় তাঁর সল্টলেকের বাড়ি থেকে কাঁচড়াপাড়ার বাড়িতে গেলেও, তাঁর স্ত্রী ভর্তি বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ইকমো সাপোর্টে রাখা হয়েছে। দিন দুয়েক আগে তাঁকে দেখতে যাওয়া নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একদিকে যেমন শুভ্রাংশু রায়কে ফোন করে কৃষ্ণা রায়ের খোঁজ খবর করেছেন, ঠিক তেমনই তাঁকে দেখতেও গিয়েছিলেন। সেই খবর পাওয়ার পরেই তাঁকে দেখতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ যে সময় হাসপাতালে গিয়েছিলেন, সেই সময় মুকুল রায় কিংবা শুভ্রাংশু রায় কেউই ছিলেন না। যা নিয়ে মুকুল রায় বলেছিলেন, দিলীপ ঘোষ, কোথায় কেন গিয়েছিলেন, তা তিনি জানেন না। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ অনেকেই যে তাঁকে ফোন করেছিলেন, সেই কথাও জানিয়েছিলেন মুকুল রায়।
মুকুলের খোঁজ নিয়েছিলেন মমতাও
এক সর্বভারতী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানিয়েছেন, তাঁর বাবা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে তিন থেকে চারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই খোঁজ নিয়েছিলেন। করোনার টিকা নেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিয়েও খোঁজ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও এই সময় রাজ্য বিজেপির কোন নেতা কতবার খোঁজ নিয়েছেন, তা তিনি বলতে চাননি। বাবা-মা করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে তাঁদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তার প্রশংসাও করেন শুভ্রাংশু।
বাবা-দিদির মঙ্গল কামনা মায়ের
শুভ্রাংশু রায় আরও বলেছেন, তাঁর মা রয়েছেন ইকমো সাপোর্টে। মায়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাল সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। শুভ্রাংশু আরও বলেছেন, ২০০৬ সালে তাঁর মা বাড়িতে ফল হারিণী কালী পুজো শুরু করেছিলেন বাবা-দিদির মঙ্গল কামনায়। এব্যাপারে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, রাজনীতিতে কোনও পরিবারের সঙ্গে বিপক্ষ কোনও পরিবারের ভাল সম্পর্ক থাকতেই পারে। যা নিয়ে কোনও জল্পনা তৈকি হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়।