নয়াদিল্লি: বেসরকারি ক্ষেত্রে দুই তিন বছর অন্তর কর্মীদের মধ্যে চাকরি ছাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। চাকরি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই কর্মীরা পুরানো সংস্থার পিএফ (PF) তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তবে কর্মীদের মধ্যে এই টাকা তুলে নেওয়ার অভ্যাসটি ক্ষতিকর হতে পারে। এরফলে কর্মীরা ভবিষ্যতের জন্য কোনো বড় অঙ্কের টাকা সঞ্চয় করতে পারে না। পেনশনেরও (Pension) কোনো ধারাবাহিকতা থাকেনা ৷ সে বিষয়েই সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের পরামর্শ নতুন সংস্থায় যোগ দেওয়ার পরে পুরনো সংস্থার পিএফ অ্যাকাউন্টকে (PF Account) নতুন সংস্থার সঙ্গে জুড়ে দিলে উপকার পাওয়া যাবে ৷ অর্থাৎ পুরনো সংস্থার টাকা ট্রান্সফার করে নিতে হবে নতুন সংস্থাতে। এমনকী অবসরের পরে বেশ কয়েক বছর টাকা পয়সার তেমন দরকার না থাকলে কিছু বছর অ্যাকাউন্টে টাকা রাখার ব্যবস্থাও রয়েছে ৷ সেটা করলেও কর্মীরা উপকৃত হবেন।

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO) আবারও কোভিড -১৯ অ্যাডভান্স প্রকল্প শুরু করেছে। এই প্রকল্পের আওতায়, কর্মীরা নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ড (Provident Fund) থেকে ৩ মাসের বেতনের সমান টাকা তুলতে পারবেন। তবে, এই প্রকল্পের সুবিধা কেবল তখনই নেওয়া উচিত যখন খুব দরকার হয়। কারণ পিএফ তহবিল থেকে অর্থ প্রত্যাহার করা মানে আপনার অবসর তহবিলের বড় ক্ষতি হওয়া। কেননা বর্তমানে আরাম করতে গেলে ভবিষ্যত বিপদে পড়তে পারেন ৷ এছাড়া বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চাকরি ছাড়ার ২ মাসের মধ্যে যদি নতুন চাকরি না পেয়ে থাকেন তবে সে ক্ষেত্রে পুরো টাকাই তুলে নিতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ৷ চাকরি ছাড়ার এক মাসের মধ্যে প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা থাকা ৭৫ শতাংশ টাকা তোলার সুযোগ থাকে ৷

অবসরের পর যদি তিন বছর পর্যন্ত টাকা না তোলা হয় তবে নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়া যায়। তিন বছর পর ওই অ্যাকাউন্টকে নিষ্ক্রিয় হিসাবে ধরা হয়। ভবিষ্যতের নিরাপদ সঞ্চয় হিসাবে অনেকেই পিএফ-কে মনে করে। তবে প্রয়োজনে টাকা তুলতে হলে অবশ্যই কেওয়াইসি করতে হবে , নাহলে টাকা তুলতে পারবেন না। ১০ বছরের কম যদি কেউ চাকরি করেন সেক্ষেত্রে পেনশনের পুরো টাকাও তুলে নিতে পারেন ৷ তবে PF-এর পুরো টাকা অবসরের পরেও তোলা যেতে পারে ৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.