সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়: একদিকে বিসিসিআইয়ের (bcci) দায়িত্ব অন্যদিকে করোনা (corona) যুদ্ধে শহরের দায়িত্ব। দুই দায়িত্ব তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। এবার তিনি কুমোরটুলির মৃৎ শিল্পীদের (kumartuli artists) ভ্যাকসিন (vaccine) দেওয়ার দায়িত্ব নিলেন। তিনি যেন কিছু না বলেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন কেন তাঁকে প্রিন্স অফ ক্যালকাটা। দায়িত্ব বলতে নেই করে দেখিয়ে দিতে হয়, ঠিক যেমনটা তিনি সারা ক্রিকেট কেরিয়ারে করে এসেছেন যে কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেওয়া। সেটাই এখন ফের করছেন।
পুজোর এখন অনেক দেরি, কিন্তু কুমোরপাড়ায় এর প্রস্তুতি অনেক আগেই শুরু হয়। এখনও তেমন সমস্যার খবর কুমোরটুলি থেকে না এলেও নতুন কোনও ঢেউ যদি সেই সমস্যা করে তখন তাদের দেখবে কে? কে তাদের প্রতিষেধক দেওয়ার দায়িত্ব নেবে? দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ফাউন্ডেশন। সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসুও। তিনি বলেন, ‘৯ জুন সকাল এগারোটা থেকে কুমোরটুলির কমিউনিটি হলে ১০০ জন মৃৎশিল্পীদের ভ্যাকসিন দেব। অনুষ্ঠানে চিফ প্যাট্রন হিসাবে থাকছেন ডঃ শশী পাঁজা। আমাদের হেল্থ কেয়ার পার্টনার লাখোটিয়া হাসপাতাল।’ এই উদ্যেগে সৌরভের সঙ্গে যারা সমান ভাবে এগিয়ে এসেছেন জেএসডব্লিউ গ্রুপ (JSW Group), শতদ্রু দত্ত ইনিশিয়েটিভ (Satadru Dutta Initiative)। সৌরভের হয়ে কাজ করবে সৌরভ গাঙ্গুলি ফাউন্ডেশন। এর আগে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (sourav ganguly) অক্সিজেন ব্যবস্থা করেন। তিনি ও তার কিছু সহযোগীরা এক হয়ে এক বাস অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে ফেলেছিলেন।
 বিনামূল্যে অক্সিজেন দেওয়ার সেই কাজ চলছে। অক্সিজেন পার্লার করা হয়েছিল। তৈরি করা হয় দুটি বাসের মাধ্যমে। দুটি বাসে অক্সিজেন পার্লার রয়েছে যাতে চল্লিশ জন অক্সিজেন নিতে পারবে। রয়েছে মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক-এর পরামর্শ এবং অক্সিজেন রিফিলিং ভ্যান-ও সরবরাহ করব। এছাড়া কুড়িটি গাড়ি অক্সিজেন ভর্তি রয়েছে যা সাহায্য করছে আক্রান্তদের।
এছাড়াও পুষ্টিকর খাদ্য ও কোভিড কিট প্রদান করা হচ্ছে, করোনা আক্রান্তদের জন্য খাবার,ডাক্তারের পরামর্শ,মোবাইল অ্যাম্বুলেন্স এর ব্যাবস্থাও রয়েছে। পাশাপাশি পূর্ব এবং পশ্চিম মেদনীপুরে প্লাজমা ডোনেট করা যাবে এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারটি মোবাইল অক্সিজেন ভ্যান রয়েছে। শালবনীতে তিরিশটি শয্যা বিশিষ্ট সেফ হোমের ব্যাবস্থা করা হয়েছে। যোগাযোগ করতে হচ্ছে শুধুমাত্র হোয়াটস এপ (whatsapp) এর মাধ্যমে।
করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময় রাজ্যে যখন লকডাউন চলছিল তখন দুঃসময়ে গরিব মানুষ, ফুটপাথবাসীদের মুখে অন্ন তুলে উদ্যোগী হয়েছিলেন সৌরভ। চাল নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন রামকৃষ্ণ বেলুড় মঠে। এরপর ইসকনে গিয়ে ১০ হাজার মানুষের অন্ন সংস্থানের দায়িত্ব তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। পরে শহরের ১০টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে চাল পৌঁছে দেয় তাঁর ‘সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ফাউন্ডেশন’।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.