ফের একবার ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার শিকার পশ্চিম আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসো। আর এই হামলায় এখনও পর্যন্ত ১০০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় আরও বেশ কয়েকজন আহত বলে জানা যাচ্ছ।
ফলে মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ভয়াবহ এই হামলার পরেই সে দেশে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কিন্তু বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী এতটাই দুর্বল যে বারবার জঙ্গিদের টার্গেটে চলে যাচ্ছে সাধারণ মানুষ। তবে ইতিমধ্যে জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও জঙ্গি সংগঠন ভয়ঙ্কর এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এক বিবৃতিতে বুরকিনা ফাসো সরকার জানিয়েছে, জঙ্গিরা হঠাত করেই নাইজার প্রদেশ সংলগ্ন ইয়াগহা প্রদেশের সোলহান গ্রামে হামলা চালায়। একেবারে রাতের অন্ধকারে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই হামলা চলে। এরপর গ্রামের বাড়িঘর এবং বাজার জ্বালিয়ে দেয় জঙ্গিরা।
যার ফলে ঘুমন্ত অবস্থাতেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পালানোর সুযোগ পায়নি কেউ। এই ঘটনায় বুরকিনা ফাসো সরকার তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। অর্ধনমিত রয়েছে সে দেশের পতাকা।
আল জাজিরারতে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একটা সময় এই সমস্ত অঞ্চলে বোকা হারেমের মতো জঙ্গি সংগঠনগুলির ক্ষমতা অনেক বেশি ছিল। কিন্তু একাধিক দেশের সঙ্গে জোট বেঁধে লাগাতার এই জঙ্গি সংগঠনের উপর চলে হামলা।
তাতে কিছুটা হলেও দুর্বল হয়ে পড়ে বোকা হারেম। তবে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী চলতি বছরের শুরুতে আফ্রিকার বুরকিনা ফাসো, মালি এবং নাইজার এলাকায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি গোষ্ঠী-আল কায়েদা, আইএস গোষ্ঠী নতুন করে শক্তি বাড়িয়েছে।
তাতে যোগ দিয়েচ বোকা হারেমের মতো সংগঠন। তাতে শক্তি বেড়েছে। আর সেই শক্তির হাজির করতেই এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। বলা প্রয়োজন পশ্চিম আফ্রিকার একটি ল্যান্ডলক দেশ। অত্যন্ত গরিব, নিরক্ষতায় সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশের মধ্যে অন্যতম।
আর এই দেশ বারবার জঙ্গিদের টার্গেট হয়েছে। তথ্য বলছে, গত দুই বছরে একের পর এক জঙ্গি হামলার কারণে ১৪ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মৃত্যু হয়েছে কয়েক লক্ষ মানুষের। একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সে দেশে পাঠানো হয়েছে শান্তিরক্ষা বাহিনীকেও। কিন্তু তাতেও থামেনি হিংসার ঘটনা।