ঢাকা: সীমান্ত বন্ধ করেও স্বস্তি নেই। ভারত (India) লাগোয়া সবকটি জেলা ও উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে। সংক্রমণ ছড়াচ্ছে দ্রুত। বিশেষজ্ঞরা গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা করেছেন। সীমান্তের ওপারে ভারত এখনও ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে ততটা বেরিয়ে আসেনি।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের দাবি, সাম্প্রতিক যতজন করোনা সংক্রমিত হচ্ছেন বাংলাদেশে (Bangladesh) তাদের ৮০ শতাংশের দেহে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট অস্তিত্ব মিলেছে। করোনার এই ধরণটি অতি সংক্রামক। ভারতে এর জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। তবে সেখানে গত কয়েকদিনে সংক্রমণ নিম্ন গতিতে।
তবে কি বাংলাদেশে এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হবে? এই প্রশ্ন উঠছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) আগেই সতর্কতা দিয়েছে, করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রবল সংক্রমণ ঝুঁকির মুখে রয়েছে বাংলাদেশ।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (IEDCR) জানাচ্ছে, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ধরনের সংক্রমণ সীমান্তবর্তী জেলার বাইরেও ছড়াতে থাকায় এই ধরনটির গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কা প্রবল।
রোগতত্ত্ব গবেষণাগার ও ইনস্টিটিউট ফর ডেভেলপিং সায়েন্স অ্যান্ড হেলথ ইনিশিয়েটিভস (আইডিএস এইচআই) এর যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলির বাইরে ঢাকা, খুলনা, বাগেরহাট, গোপালগঞ্জ, পিরোজপুর ও গাইবান্ধায় ভারতীয় ধরন হিসেবে পরিচিত ডেলটা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমিত রোগী মিলেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক রোগীর বিদেশ ভ্রমণের ইতিহাস নেই।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, গত ৮ মে ভারত থেকে আসা তিন বাংলাদেশির শরীরে করোনার ভারতীয় নতুন ধরন শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদফতর। এরপর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জে সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত ২৪ মে ওই জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসন।
পরিস্থিতির বিচার করে, ভারত সীমান্তবর্তী সাতটি জেলায় সীমান্তবর্তী সাত জেলা নওগাঁ, নাটোর, সাতক্ষীরা, যশোর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও খুলনায় কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করা হয়। শনিবার থেকে সাতক্ষীরায় লকডাউন শুরু হলো।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, সরকার যদি আগে থেকেই আন্তর্জাতিক সীমান্তের পশ্চিমবঙ্গ সংলগ্ন জেলাগুলিতে লকডাউন শুরু করত, তাহলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন ছিল না। এখন দ্রুত ছড়াতে শুরু করেছে ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট।
করোনার ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছে এটি। এই ধরণের করোনা সংক্রমণে রোগীর শ্বাসকষ্ট অত্যন্ত বেড়ে যায়। অক্সিজেন যোগানের ঘাটতি হলে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ভারতে এই অবস্থাই দেখা গিয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.