লন্ডন: বিশ্বের বৃহত্তম বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর কর আরোপ করতে একটি চুক্তি সাক্ষর করেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর জোট G-7। এই চুক্তির ফলে করের আওতায় আসবে অ্যামাজন (Amazon), গুগল (Google), মাইক্রোসফটের (Microsoft) মতো কোম্পানিগুলো। এখন থেকে এই সমস্ত কোম্পানিকে ন্যূনতম ১৫ শতাংশ করপোরেট কর (Corporate Tax) দিতে হবে।
অন্যান্য দেশও যাতে এই পথ অবলম্বন করে, সে জন্য তাদের অনুরোধ করা হবে বলে জানিয়েছে জি-৭। আগামী মাসে G-20-এর বৈঠকেই বিষয়টি আলোচনায় উঠবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সরকারের হাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আসবে, যা দিয়ে তারা মহামারি (Pandemic) মোকাবিলায় ব্যয় করতে পারবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়তে নতুন পথ পাবে।
এবিষয়ে ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক(Rishi Sunak) বলেন, দীর্ঘ কয়েক বছর আলোচনার পর G-7 এর অর্থমন্ত্রীরা বিশ্বব্যাপী করব্যবস্থা নিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছে। এই ঐতিহাসিক চুক্তি গ্লোবাল ডিজিট্যাল যুগের জন্যে উপযুক্ত। এই চুক্তির ফলে বিশ্বব্যাপী বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর জন্য একটি সমতল ক্ষেত্র তৈরি হল।
ফ্রান্সের অর্থমন্ত্রী ব্রুনো লে মাইরে বলেন, ‘ইউরোপের দেশগুলো অতীতে নতুন আন্তর্জাতিক কর ব্যবস্থার বিরোধিতা করেছে, তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে এই চুক্তি বড় ধরনের সুযোগ উন্মোচন করবে।’
জার্মান অর্থমন্ত্রী ওলাফ শুলজ বলেছেন, চুক্তিটি স্বাক্ষর হলে পৃথিবী বদলে যাবে। তিনি বলেন, ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা গেলে মহামারির কারণে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে তা খুব সহজেই পরিশোধ করা যাবে। আর এই চুক্তিটি স্বাক্ষর করার ব্যাপারে ‘চরম আত্মবিশ্বাসী’ও তিনি।
যদিও এখনও পর্যন্ত অ্যামাজন, গুগল, মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিগুলো এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। গুগল, ফেসবুক বা ইউটিউব-এর আয় আসে বিজ্ঞাপন থেকে। এই তিনটি মাধ্যমে অধিকাংশ দেশ থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাট-ট্যাক্স দেওয়ার কথা। তারা যে পরিমাণ টাকার বিজ্ঞাপন দেয়, তার বিপরীতে ভ্যাট- ট্যাক্স দিতে আইন অনুযায়ী বাধ্য। তারা সেটা দিচ্ছে কিনা এখন তা দেখার বিষয়। সেখানে নজরদারি বাড়াতে চায় জি৭।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.