প্রথমে হতে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক
এদিন দুপুর দুটোয় তৃণমূল ভবনে শুরুতেই তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক। মধ্যমনি অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, যাঁরা ওই ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য যাঁরা তাঁরা সবাই তৃণমূল ভবনে উপস্থিত থাকতে চলেছেন। সাধারণভাবে যাঁরা দলের শীর্ষ পদে রয়েছেন, তাঁরাই ওয়ার্কিং কমিটিতে রয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন, সুব্রত বক্তি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এই বৈঠকে নেতাদের নির্দেশ দেওয়া ছাড়াও, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
ভার্চুয়ালি বৈঠক জেলার পদাধিকারী, বিধায়কদের সঙ্গে
ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক করার পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠর করবেন, বিভিন্ন জেলায় সভাপতি, বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে। এই বৈঠকে সবাই ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা বেলা তিনটে থেকে।
বড় রদবদলের সম্ভাবনা
তৃণমূলের এদিনের বৈঠকে বড় রদবদলের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। দলের সুপ্রিমো নেতাদের জন্য এক ব্যক্তি এক পদের নীতি ঘোষণা করতে পারেন। তা হলে, অনেক নেতাই দলীয় কিংবা মন্ত্রীপদ খোয়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেই তালিকায় একাধিক জেলা সভাপতিও রয়েছেন। সবাইকে একটি পদে রেখে দলে আরও ভাল কাজের ব্যাপারে মন দিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার সাংগঠনিক ভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে। কেননা ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের দায়িত্ব তিনি অনেকটাই সামলেছেন। তিনি প্রমাণ করে দিতে পেরেছেন সাংগঠনিকভাবে তিনি অন্য কারণ থেকে কোনও অংশে কম নন।
এদিন যেসব বিষয়ে আলোচনা সম্ভাবনা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, এদিন যেসব বিষয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে, তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি। এদিন প্রশান্ত কিশোরকে রেখে দেওয়া কথাও ঘোষণা করা হতে পারে। পাশাপাশি এদিনের বৈঠকে তিনিও হাজির থাকতে পারেন। বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বাড়ানোর কথা ঘোষণা করা হতে পারে। যাঁরা তৃণমূ ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে অনেকেই দলে ফিরতে চাইছেন। তাঁদের ব্যাপারেও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি রাজ্যে ছটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে, সেই আসনের প্রার্থীদের নাম নিয়েও ঘোষণা করা হতে পারে।