গ্রেফতার ছত্রধর মাহাত
জঙ্গলমহলে ভোটের পরেই গ্রেফতার করা হয় রাজধানী এক্সপ্রেস হাইজ্যাকের ঘটনায় অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাত। ভোটের আগে থেকেই এনআইএ-র স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। একাধিকবার ছত্রধর মাহাত এনআইএ মামলায় আদালতে হাজিরা এড়িয়েছেন। এমনকী তাঁর করোনা হয়েছে বলেই চিঠিতে লিখেছিলেন ছত্রধর মাহাত। তারপরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
আদালতে আবেদন
এনআইএ হেফাজতেই রয়েছেন ছত্রধর মাহাত। আজ ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। আবেদনে তিমি লিখেছেন অসুস্থতার কারণে গৃহবন্দি থাকতে চান। বাড়িতে থেকেই তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন। সোমবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাঁর আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য নারদকাণ্ডে গ্রেফতার রাজ্যের চার হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রীকে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
তৃণমূলের রাজ্য কমিটিতে
ভোটের আগে জঙ্গলমহলের মাটি ফিরে পেতে ছত্রধর মাহাতকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাকে রাজ্য কমিটিতে তুলে এনে জঙ্গলমহলকে হাতে রাখার চেষ্টা চালিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী। সেই চেষ্টায় সফল হয়েছিলেন তিনি। জঙ্গলমহলে অপ্রত্যাশিত ভাবেই বিপুল ভোট পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯-র লোকসভা ভোটে তৃণমূলের প্রায় হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল জঙ্গলমহল।
রাজধানী কাণ্ড
ঝাড়গ্রামের বাঁশতলায় রাজধানী এক্সপ্রেসে হামলার চালিয়েছিল মাওবাদীরা। সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছিলেন ছত্রধর মাহাত। তার বিরুদ্ধে UAPA ধারায় মামলা হয়। এবং গ্রেফতার করা হয়। ২০২০ সালে জামিনে মুক্ত হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে তদন্তকারীদের স্ক্যানারে ছিলেন তিনি। তবে ২০২১-র ভোটের আগে তাকে ফের দলে এনে বাড়তি দ্বায়িত্ব দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।