প্রার্থনা করুন, মা যাতে ভাল হয়ে যায়
করোনা আক্রান্ত হয়ে সংকটজনক পরিস্থিতি মুকুল পত্নী কৃষ্ণা রায়ের। মায়ের অবস্থা প্রসঙ্গে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেছেন, এই মুহূর্তে কে দেখতে এল, না এল, তা নিয়ে খারাপ লাগা ভাল লাগার দিকে তিনি যাচ্ছেন না। মাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়াটাই তাঁর প্রথম কাজ। সকলের কাছে তাঁর আবেদন, প্রার্থনা করুন, মা যাতে ভাল হয়ে যান। এরকম খারাপ পরিস্থিতি পরিবারের এর আসেনি বলেও জানিয়েছেন শুভ্রাংশু।
ধর্ম নিয়ে ভুল প্রচার, তাঁর ভুল হয়েছে
গত কয়েক মাস ধরে তিনি প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। ছিলেন বীজপুর থেকে বিজেপির প্রার্থী। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, একটা ধর্ম নিয়ে বলে এসেছেন। বাকিদের কথা বলেননি। ছেলের পাপের ফল মা ভোগ করছেন। তিনি বলেছেন, ছয়মাস আগেই যাঁদের কাছে যাননি, তাঁদের কাছে দোয়া করার জন্য বলতে হচ্ছে। শুভ্রাংশু বলেছেন, তাঁর ভুল হয়েছে। ৪-৫ মাস আগে অনেককেই অবহেলা করেছেন তিনি।
মমতা-অভিষেকের কাছে কৃতজ্ঞ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু রায় বলেছেন, সে ছোটবেলায় অনেকটা সময় তাঁদের বাড়িতে কাটিয়েছে। একসঙ্গে তাঁরা বড় হয়েছেন। তাই দল ছাড়লেই দেখা সময়ে সময়ে জিজ্ঞাসা করেছে, কাকিমা কেমন আছেন। তিনি বলেছেন অভিষে এখন ন্যাশনাল ফিগার। শুধু অভিষেক নয়, গত ২ সপ্তাহ ধরে খোঁজ নিয়েছেন বক্সিদা, পার্থদা। শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, তাঁর বাবার খোঁজ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। ৩ থেকে ৪ বার খোঁজ নিয়েছেন, বাবার ভ্যাকসিন নেওয়া হয়েছে কিনা কিংবা শারীরিক পরিস্থিতি কেমন।
শুভ্রাংশু রায় বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তীতে কাজ করছেন, তাতে তাঁকে স্যালুট জানানো উচিত। রাজনীতিতে অসম্ভব কিছু নয়, তবে তিনি সে ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেননি বলেই জানিয়েছেন।
দিলীপ ঘোষের কাছে কৃতজ্ঞ
দিলীপ ঘোষ তাঁর মাকে দেখতে গিয়েছেন। তাই তিনি দিলীপ ঘোষের কাছে কৃতজ্ঞ। দিলীপ ঘোষ জানিয়েছিলেন, তিনি কারও কাছে ফোন করে যাননি। এব্যাপারে শুভ্রাংশু বলেছেন, সব মানুষ সমান যেমন হন না, আবার সবার অভিব্যক্তিও সমান হয় না। তবে বিজেপির কারা ফোন করে তাঁর মা-বাবার খোঁজ নিয়েছেন, তা বলতে চাননি শুভ্রাংশু রায়।