বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে ইকুয়েডরকে হারিয়ে কোপা আমেরিকা নিয়ে মুখ খুললেন ব্রাজিলের অধিনায়ক ক্যাসেমিরো। অস্পষ্টভাবেই তিনি নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দলের সব খেলোয়াড় এবং কোচের মিলিত আলোচনার মাধ্যমে নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ক্যাসেমিরো।
আর্জেন্তিনা ও কলম্বিয়ায় যৌথভাবে কোপা আমেরিকা ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রাজনৈতিক কারণে কলম্বিয়াকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক হয়, একক ভাবে ইভেন্টের দায়িত্ব পালন করবে আর্জেন্তিনা। ইতিমধ্যে লিওনেল মেসির দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাব আচমকা বেড়ে যাওয়ায় সে পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। দক্ষিণ আমেরিকা ফুটবল কনফেডারেশন বা কনমেবলের তরফে জানিয়ে দেওয়া, টুর্নামেন্ট হবে ব্রাজিল।
ঠিক এখান থেকেই বিতর্কের সূচনা হয়। কোভিড ১৯ সংক্রমণে জেরবার ব্রাজিল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসন কার্যত ব্যর্থ হওয়ায় সে দেশের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধেই তদন্ত শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা আয়োজন করা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এই ইস্যুতে নিজেদের অসন্তোষের কথা জানিয়ে দেন ব্রাজিলের ফুটবলাররাও। বক্তব্য, করোনার জেরে তৈরি হওয়া জরুরিকালীন পরিস্থিতিতে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই এতবড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আক্ষেপে কোপা আমেরিকায় অংশ না নেওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে জানিয়েও দেন নেইমাররা। সূত্রের খবর, অতিমারী পরিস্থিতিতে অন্য দেশের ফুটবলারদেরও ব্রাজিলে কোপা আমেরিকা খেলতে আসতে না করেছেন অ্যালিসন, জেসুসরা।
এমতাবস্থায় বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইকুয়েডরকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। তারপরেই কোপা আমেরিকা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন দলের অধিনায়ক ক্যাসেমিরো। জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুন প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বের ম্যাচ শেষ হওয়ার পর ব্রাজিল দলের সব সদস্য একত্রে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানাবেন। তাই বলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিবেচনাকে অসম্মান করা তাঁদের উদ্দেশ্য নয় বলেও জানিয়েছেন ক্যাসেমিরো। বক্তব্য, বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে সেরাটা দেওয়াই তাঁদের প্রাথমিক লক্ষ্য। ফলে প্যারাগুয়ের বিরুদ্ধে জয় হাসিলই তাঁদের তাৎক্ষণিক ভাবনা বলে জানিয়েছেন ব্রাজিলের অধিনায়ক।