কলকাতা ২৪X৭ ডেস্ক: করোনা মহামারিতে চারিদিকে হাহাকার, দুশ্চিন্তা আর আতঙ্ক। রাজ্য সহ গোটা দেশের পরিস্থিতি বেশ শোচনীয়। যার জেরে রাজ্যজুড়ে এখন কার্যত লকডাউন। বন্ধ যান চলাচল। তাই বেশিরভাগ মানুষের ঠাঁই হয়েছে নিজের ঘরে। আর ঘরে বসেই চলছে কাজ। ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’!

অনেকেই এই ঘরে বসে কাজকে ভালো চোখে নেন না। অনেকে বিরক্তও হয়ে পড়েন। কিন্তু জানেন কি ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চলাকালীনই যুগান্তকারী আবিষ্কার করেছিলেন আইজ্যাক নিউটন। কি অবাক হচ্ছেন তো? অবাক হলেও এটাই সত্যি!

সাল ১৬৬৫। গ্রেট লন্ডন প্লেগের দাপটে জেরবার ইংল্যান্ড। গোটা বিশ্বের ইতিহাসে এ এক ভয়ঙ্কর সালও বটে। প্লেগ আক্রমণে সেবার গোটা ইংল্যান্ড ছারখার হয়ে গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৭০ হাজারেরও বেশি মানুষের। ‘দ্য গ্রেট প্লেগ অফ লন্ডন’এর দাপটে বন্ধ হয়েছিল সব স্কুল, কলেজ, অফিস।

স্যার আইজ্যাক নিউটন তখন পড়াশুনায় মগ্ন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রিনিটি কলেজের ছাত্র। সদ্য স্নাতক পাশ করার পর আরও উচ্চশিক্ষার কথা ভাবছেন তিনি। তবে মারণ প্লেগ তাঁর সেই স্বপ্নে বাঁধা সৃষ্টি করে। প্লেগের থাবায় বন্ধ হয়ে যায় কেমব্রিজ। ছাত্র শিক্ষকদের কথা ভেবে বন্ধ হয়ে যায় ট্রিনিটি কলেজও। ঘরবন্দী হয়ে পড়েন নিউটন।

তবে এই মারণ রোগ তাঁর পড়াশুনায় বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে নি। তিনি ঘরে বসেই শুরু করেন পড়াশুনা, তার সঙ্গেই গবেষণা। একেবারে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে।

আর এই সময়টাতেই তাঁর জীবনে ঘটে যায় আমূল পরিবর্তন। একের পর এক যুগান্তকারী আবিষ্কার করেন আইজ্যাক নিউটন। যার মধ্যে অন্যতম মাধ্যাকর্ষণের ধারণা এবং তাঁর সূত্র। সৌজন্যে নিউটনের আপেল বাগান।

এই সময়টাতেই যে তিনি নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছেন, তার আরও বেশ কয়েকটি প্রমাণ রয়েছে। ঘরবন্দী অবস্থাতেই নিউটন সামনে আনেন অঙ্কের ক্যালকুলাস, আলোবিজ্ঞান বা অপটিকস্ সহ একের পর এক তত্ত্ব।

তাই এটা বলাই যায় যে, ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ই বদলে দেয় নিউটনের জীবন। চমকে দেন গোটা বিশ্বকে। যার ফলস্বরূপ, এক কলেজ ছাত্র থেকেই কেমব্রিজের অধ্যাপক হয়ে যান তিনি। পান ফেলোশিপও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.