নয়াদিল্লি: 5G পরিষেবা নিয়ে অভিনেত্রী (Actress) জুহি চাওলাকে (Juhi Chawla) ভর্ৎসনা দিল্লি হাইকোর্টের (Delhi High Court) । শুধুমাত্র পাবলিসিটি (publicity) পেতেই 5G পরিষেবা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে জুহি চাওলা পিটিশন দায়ের করেছিলেন বলে মনে করে দিল্লি হাইকোর্ট। বলিউড অভিনেত্রীর দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জুহি চাওলাকে ২০ লক্য টাকা জরিমানা (fine) জমার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

5G মামলায় ফ্যাসাদে বলিউড অভিনেত্রী জুহি চাওলা। পরিবেশ ও মানুষের উপর 5G নেটওয়ার্ক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে দাবি করেন জুহি। তাঁর দাবি নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছিলেন জুহি চাওলা। আদালতকে এব্যাপারে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ করতে আবেদন জানান জুহি। অভিনেত্রী তাঁর দাবির স্বপক্ষে সমাজকর্মী বীরেশ মালিক ও টিনা ভকানিকে সঙ্গে পেয়ে যান। এরপর 5G পরিষেবা চালু না করার জন্য দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়।

5G নেটওয়ার্ক প্রসঙ্গে জুহির যুক্তি, ‘‘সমীক্ষা ও নানা পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গিয়েছে 5G নেটওয়ার্ক পশু-পাখিদের পাশাপাশি মানুষের শরীরেও ব্যাপক ক্ষতি করে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের বিপক্ষে নই। তবে রেডিয়েশন নিয়ে সবার মধ্যেই দ্বিধা-দ্বন্দ্ব থাকে।’’ নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে এমনই বেশ কিছু মন্তব্য করতে থাকেন জুহি। এদিকে, দিল্লি হাইকোর্টে আজই তাঁর আবেদনের শুনানি হয়। আদালত বলিউডের এই অভিনেত্রীকে ভর্ৎসনা করেছে। শুধুমাত্র মিডিয়া পাবলিসিটি (Media Publicity) পেতেই নব্বইয়ের দশকে বলিউডে সাড়া জাগানো এই নায়িকা এই কান্ড করেছেন বলে মনে করে আদালত। নিজের পরিচিতি আরও বাড়াতে জুহির এই কাজ বলে মনে করেন বিারপতিরা।

5G নেটওয়ার্ক নিয়ে জুহি চাওলার দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। অভিনেত্রীকে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনার পাশাপাশি তাঁকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জুহির আবেদনের পুরোটাই পাবলিসিটি গিমিক বলে মনে করে আদালত। এদিন আদালত জুহি চাওলার দায়ের করা মামলার কড়া সমালোচনা করে আরও জানিয়েছে,

আবেদনের স্বপক্ষে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ দেখাতে পারেননি অভিনেত্রী। যে বিষয় নিয়ে তিনি অভিযোগ করছেন, তা সম্পর্কে তাঁর স্পষ্ট কোনও ধারণাও নেই। ভুল কিছু তথ্যের উপর ভর করে জুহি চাওলা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে মনে করেন বিচারপতিরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.