দোহা: ৭০ মিনিটেরও বেশি সময় ভারতকে(Team India) দশজনে পেয়েও নামমাত্র গোলে জয়। সারা ম্যাচ জুড়ে মুহুর্মুহু আক্রমণের পরেও বৃহস্পতিবার একমাত্র গোলে জয়েই যথেষ্ট খুশি কাতার কোচ ফেলিক্স স্যাঞ্চেজ(Felix Sanchez)। ২০১৯ সেপ্টেম্বরে প্রথম লেগে তাঁর দলকে রুখে দিয়ে দোহা থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছিল ‘মেন ইন ব্লু’। বৃহস্পতিবার ৩৩ মিনিটে জটলার মধ্যে থেকে আব্দুলাজিজ হাতেমের(Abdulaziz Hatem) একমাত্র পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। নইলে তেকাঠির নীচে দুর্ভেদ্য গুরপ্রীত সিং সান্ধু(Gurpreet Singh Sandhu) কিংবা রক্ষণে সন্দেশ(Sandesh Jhingan)-প্রীতমদের(Pritam Kotal) লড়াই আরও একবার প্রথম লেগের কথাই মনে করাচ্ছিল।

আর সব দেখেশুনে বৃহস্পতিবার ম্যাচের পর কাতার কোচ স্বীকার করে নিলেন ভারতকে হারানো সহজ কাজ নয়। স্টিম্যাচের দলের রক্ষণের গোল না খাওয়ার যে সংকল্প, তার ভূয়সী প্রশংসা করলেন স্যাঞ্চেজ। ম্যাচের পর কাতার কোচ জানান, ‘ম্যাচটা কঠিন হবে বলেই মনে করেছিলাম। আমরা এমন একটা দলের মুখোমুখি হয়েছিলাম যারা আমাদের বিরুদ্ধে লোক বাড়িয়ে মজবুত এবং সংগঠিত রক্ষণ সাজিয়ে নেয়। ওঁদের বিরুদ্ধে পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে আমরা প্রচুর সুযোগ তৈরি করেছি। আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে দূরপাল্লার শট নেওয়ার চেষ্টায় ছিলাম। দু’প্রান্ত থেকে ক্রস তুলে কম্বিনেশন তৈরির চেষ্টায় ছিলাম।

আমাদের একটা গোল করে তিন পয়েন্ট তুলে নেওয়াই মূল উদ্দেশ্য ছিল। আমরা খুশি সেই তিন পয়েন্ট পেয়ে। একইসঙ্গে প্রত্যাশা থাকলেও আর গোল না করতে পারার হতাশাও রয়েছে আমাদের।’ ম্যাচে রাহুল ভেকের(Rahul Bheke) লাল কার্ড যে অনেকটা ফারাক গড়ে দিয়েছিল সে কথাও মেনে নেন স্যঞ্চেজ। কাতার কোচ বলেন, ‘প্রথমার্ধে লাল কার্ডটা পার্থক্য গড়ে দিয়েছিল। এরপরই আমরা ভেবে নিয়েছিলাম জয় ছাড়া গতি নেই। তবে পরিকল্পনায় কোনও বদল করিনি। আমরা যেমনটা আশা করেছিলেম ঠিক তেমনটাই খেলে গিয়েছি। দীর্ঘ সময় দশজনে খেলা মুখের কথা নয় একইসঙ্গে ওঁরা রক্ষণে ভিড় বাড়িয়ে নেওয়ায় আমাদের গোলের কাছাকাছি পৌঁছতে অসুবিধে হচ্ছিল।’

বার্সেলোনার প্রাক্তন যুব দলের কোচ ভারতের গোলরক্ষক গুরপ্রীতেরও(Gurpreet Singh Sandhu) দরাজ প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘ভারত দেখিয়ে দিয়েছে ওঁদের হারানো কতোটা কঠিন। ওঁরা দু’টো লেগ মিলিয়ে মাত্র একটা গোল হজম করেছে কারণ ওঁদের গোলরক্ষক। দলগত পারফরম্যান্সের পরেও বলতে হবে ওঁদের গোলরক্ষকের কথা যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ফের একবার দুর্দান্ত একটা ম্যাচ খেলল ছেলেটা।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.