করোনা (corona) সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতের (India) জনসংখ্যার ওপর বিপুল প্রভাব বিস্তার করেছে। ভারতের জনসংখ্যার বেশিরভাগ মানুষই ভ্যাকসিন (vaccine) নেওয়ার জন্য উপযুক্ত। কিন্তু করোনা ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্যার সৃষ্টি করছে। চেষ্টা করেও মিলছে না ভ্যাকসিন। কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন পেয়ে গিয়েছেন, তাদের সব রকমের সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
১ মে ২০২১ থেকে শুরু হয়েছিল ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের করোনা ভ্যাকসিন (covid vaccine ) দেওয়ার কাজ। তখন থেকেই অনেকের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছিল যে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া পর কি মদ (Alcohol) খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত? ভারতের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক (Health and family welfare department) বা আন্তর্জাতিক অন্যান্য স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা হোক, তাদের মতে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মদ খেলে কোনো রকমের ক্ষতির কোনো সম্ভাবনা নেই । কারণ এখনও অবধি করোনা ভ্যাকসিনের সঙ্গে মদের খারাপ প্রভাবের বিজ্ঞানসম্মত কোনো প্রমাণ মেলেনি।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার (University of California) সেন্ট্রাল ভাইরাস রিসার্চ (central virus research center) কর্তৃক ক্লিনিকাল ট্রায়ালে করোনা ভ্যাকসিনের ওপর মদের প্রভাবের কোনো প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু অন্যান্য ভ্যাকসিন গবেষণা অনুযায়ী ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মদ খেলে ভ্যাকসিনের কর্মক্ষমতা কমে যায়। সেখান থেকেই অনেকে মনে করেন যে করোনা ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। সম্প্রতি প্রকাশিত আরও একটি গবেষণা অনুযায়ী ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে ও পরে সামান্য মদ খাওয়া যেতে পারে।
মেডিসিন অ্যান্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সির মতে করোনা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মদ খেলে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কমে, এমন কোনো প্রমাণ মেলেনি। বিশ্বব্যাপী অনেক চিকিৎসকই মনে করেন যে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর মদ খেলে, অ্যান্টিবডি (antibody) তৈরিতে কোনো সমস্যা হয় না। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একটি প্রশ্নের উত্তরে জানানো হয়েছে যে করোনা ভ্যাকসিনের ওপর মদের প্রভাব পড়ে, এরম কোনো প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসকদের মতে কোনো প্রমাণ না পাওয়া গেলেও ভ্যাকসিন নেওয়া পর কমপক্ষে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা মদ না খাওয়াই ভালো।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.