নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে টলমল অবস্থা দেশের অর্থনীতি। দেশে করোনার এই তান্ডবে কারণে এবছরও রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো রেট একই রাখার সিদ্ধান্ত নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India)। শুক্রবার মানিটারি পলিসি কমিটি বা আর্থিক নীতি নির্ধারণ কমিটি (MPC) এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। মুম্বইয়ে তিন দিনের বৈঠকের পর গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ ঘোষণা করেন যে, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে সুদের হারে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়, সেই হার অর্থাৎ রেপো রেট (Repo rate)রয়েছে ৪ শতাংশ। অন্য দিকে, যে হারে ব্যাঙ্কগুলির কাছ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ধার নেয়, সেই রিভার্স রেপো (Reverse Repo Rate)রেট রয়েছে ৩.৩৫ শতাংশে। গত বছরে রেপো রেট এবং রিভার্স রেপো কমিয়ে ছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া। তার পর থেকে তা টানা দুবছর অপরিবর্তিতই থাকলো।

গভর্নর শক্তিকান্ত দাশ (Shkatikanta Das) বলেন, অতিমারির ধাক্কায় গত অর্থবর্ষে দেশের অর্থনীতি সঙ্কুচিত হয়েছে ৭.৩ শতাংশ। মহামারীর প্রবল ধাক্কা সত্ত্বেও কৃষি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি অব্যাহত। ভালো বর্ষা হলে তবেই অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন সম্ভব। আরবিআই চলতি বছরের জন্য পূর্বাভাস দিয়ে জানিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি হতে পারে ৯.৫ শতাংশ। আগে চলতি বছরে ১০.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল আরবিআই। মূলত করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গকে প্রশমিত করতেই এমন সিদ্ধান্ত বিশ্বের শীর্ষ ব্যাঙ্কের। গভর্নর দাস বলেছেন যে যতক্ষণ না কোভিডের প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে ততক্ষণ কেবল সমবায়িক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় থাকবে। তিনি আরোও বলেন যে বিশ্ব বাজারে ভারতের ব্যবসা বাড়লে তবেই উন্নতি হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মুদ্রা নীতি নির্ধারক কমিটির (MPC) ১ জুন ৪০ হাজার কোটি টাকার G-sec কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রথম কোয়ার্টারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১ লক্ষ কোটি টাকার সরকারি সিকিওরিটি কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এখনও পর্যন্ত ৬০ হাজার কোটি টাকার G-sec কেনা হয়েছে। দ্বিতীয় কোয়ার্টারে অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ১.২০ লক্ষ কোটি টাকার সরকারী সিকিওরিটি কিনবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.