ব্যাংককঃ মানুষ পারেনা এমন কাজ বোধ হয় নেই! জলের মধ্যে আগুন জ্বালানো থেকে শুরু করে মঙ্গলগ্রহে অবতরণ। সবকিছুতেই মানুষ তার বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। এর পাশাপাশি রোজানা এমন একাধিক ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা দেখে শুরুতে বিশ্বাস করা সম্ভব না হলেও, বাস্তবে সেটাই সত্যি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় যেসব ভিডিও ঘুরে বেড়ায় তার মধ্যে পশুপাখিদের প্রতি মানুষের স্নেহশীল আচরণও চোখে পড়ে। তার মধ্যে রাস্তার কুকুরবিড়ালদের পরম স্নেহের সাথে খাবার খাওয়ানোর ভিডিও (Viral Video) তো দেখতে মেলেই। সম্প্রতি তেমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যা দেখে ধন্যবাদ জানাচ্ছে খোদ নেটিজেনরাই।
এবার আপনি যখন আরশোলা (cockroach) দেখেন তখন আপনি কী করেন? যদি উড়ছে তবে ? অনেকে তো চিৎকার করে পালাতে থাকেন । তবে, আরশোলা আহত হলে আপনি কী করবেন? এই প্রশ্নের উত্তরের অপেক্ষা না করে আপনারা জেনে নিন, একজন থাই ব্যক্তি (Thai man) রাস্তার পাশে একটি আহত আরশোলাকে দেখতে পেয়ে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। গোটা ঘটানটি নেট মাধ্যমে ভাইরাল (Viral) হতেই ওই ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে নেটিজেনরা।
চলুন জেনে নেওয়া যাক গোটা ঘটনাটি কী? আসলে, থাইল্যান্ডের (Thailand) ক্রাথুম বেনের চিকিৎসক ডাঃ থানু লিম্পাপাতানাওয়ানিচের গত সপ্তাহে এক অদ্ভুত কাণ্ডে অবাক হয়েছিলেন। এক ব্যক্তি তাঁর কাছে একটি আহত আরশোলা নিয়ে এলেন। তিনি জানান, রাস্তার উপর এই আরশোলাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তার জেরেই আরশোলাটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। আর তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তিটি আহত আরশোলাকে উদ্ধার করে অ্যানিমাল হাসপাতালে (Animal Hospital) নিয়ে আসেন। ওই ব্যক্তিটি জানান, ‘ আরশোলাটি গতকাল রাস্তার উপর উঠে আসে। তখন সেখান থেকে যাচ্ছিলেন এক দানব আকৃতির ব্যক্তি। তিনি সেই আরশোলার উপর পা তুলে দেন। যার জেরে আরশোলাটি গুরুতর আহত হয়ে পড়ে। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিই, আরশোলাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার’।
তিনি আরও বলেন, “এটি কোনও রসিকতা নয়। এটি প্রতিটি প্রাণীর প্রতি মমত্ববোধ এবং করুণার ইঙ্গিত দেয়। প্রতিটি জীবনই মূল্যবান … আমার ইচ্ছা এই পৃথিবীতে আরও বেশি লোক থাকত … দয়া দুনিয়া সমর্থন করে।” অন্যদিকে ওই পশু চিকিৎসক জানান, “আমি সেই ব্যক্তিকে আরশোলাকে চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনে ফের আনতে বলেছি ও তাঁর থেকে কোনও ফি নেয়নি।” তবে আরশোলাটি এখন বেঁচে আছে কিনা তা জানা যায়নি। তদুপরি ওই ব্যক্তির এই পশুপ্রেম দেখে প্রশংসা করছে নেট মহল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.