স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা:  তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে বিজেপির (BJP) সাত-আট জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। একইসঙ্গে যোগাযোগে রাখছেন তিনজন সাংসদ। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Knal Ghosh)৷ তিনি জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা চলছে৷ তবে এখনও এবিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শীর্ষ নেতৃত্ব৷

কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘বিজেপির অন্তত ৭ – ৮ জন বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। তার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলত্যাগী কয়েকজন।’ সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ‘বিজেপির অন্তত ৩ জন সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন।’ তবে কারও নাম বলেননি তিনি৷

শনিবার দুপুর ২টোয় যে বৈঠক ডাকা হয়েছে সেখানে দলবদলুদেরও আরও একবার বার্তা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ৩ মে কালীঘাটের বাড়ি থেকেই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী জানান, যারা অভিমান করে  বিজেপিতে চলে গিয়েছেন তারা ফিরে আসুন। আর তারপরেই দলবদলুদের ঘরে ফেরার হিড়িক চোখে পড়ছে। সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, বাচ্চু হাঁসদা, সরলা মুর্মুর মতো বহু নেতা-নেত্রীরা ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। এমনকি মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও খানিক বেসুরো গাইছেন৷  সেই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে নিজের হাতে হাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখেছেন স্ট্রাইকার তথা বসিরহাটের প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)।  তিনি লিখেছেন, ভােটের আগে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে মমতার অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চান।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন ঘোষ, মিহির গোস্বামী, বৈশালী ডালমিয়া সহ অনেকে।  কিন্তু মুকুল রায় আর শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া কেউই বিজেপির টিকিটে জিততে পারেননি। তারপর থেকেই একাধিক দলবদলু তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর।

এদিকে, দলবদলু তৃণমূলীদের অবজ্ঞার সুরেই বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, বিজেপি করার জন্য হিম্মত থাকা দরকার। ভোটের আগে অনেেক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যেসব নেতাদের হিম্মত রয়েছেন তাঁরা থাকবেন। দু-একজন যাবেন, এ নিয়ে ভাবার কিছু নেই। দলে তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.