তহবিলে পড়ে রয়েছে ১৫ কোটি টাকা
অধীর চৌধুরীর কথায়, আমার সাংসদ তহবিলে পড়ে রয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অথচ সেই টাকা কাজে লাগাতে বললেও কর্ণপাত করছে না জেলাশাসক। সাংসদ তহবিলের টাকা থেকে একটি অক্সিজেন প্লান্ট ও দুটি অ্যাম্বুল্যান্স কেনার জন্য জেলাশাসকে চিঠিও দিই। শুধু জেলা শাসককেই নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এই প্রসঙ্গে চিঠি লেখেন অধীর। সেখানেও বহরমপুরে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির জন্যে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার কথা বলা হয়। এখনও পর্যন্ত তা না দেওয়াতে ক্ষুব্ধ সাংসদ।
টাকা নেই বলে অভিযোগ
যদিও এই চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জেলাশাসকের দাবি, সাংসদ তহবিলে নাকি কোনও অর্থই নেই। পুরো বিষয়টিই সাংসদকে জানানো হয়। আর এরপরই অধীর চৌধুরী কেন্দ্র থেকে এমপি ল্যাডের টাকার হিসাব আনিয়ে পাঠান জেলাশাসকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও চিঠি দিয়ে পুরো বিষয়টি জানান অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ১ কোটি টাকা লাগবে অ্যাম্বুল্যান্স কিনতে আর অক্সিজেন প্লান্ট তৈরিতে খরচ হবে ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আর সাংসদ তহবিলে রয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অথচ জেলাশাসক বলছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এই বিষয়ে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ এনেছেন সাংসদ।
প্রতিহিংসার রাজনীতি!
অধীর চৌধুরী আরও বলেন, কান্দি হাসপাতালের জন্য অক্সিজেন প্লান্ট এবং অ্যাম্বুল্যান্স কেনার জন্যই আমার সাংসদ তহবিলের টাকা কাজে লাগাতে চাই। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনে এই টাকা খরচ করতে চাইলেও রাজ্য সরকার প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ প্রদশ কংগ্রেস সভাপতি।
উত্তর না পাওয়ার অভিযোগ
দেশজুড়ে অক্সিজেন নিয়ে হাহাকার। এই অবস্থায় মুর্শিদাবাদে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করতে চেয়েছিলেণ সাংসদ। আর সেই অনুমতি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিক চিঠি লেখেন অধীর চৌধুরী। শুধু তাই নয়, জেলাশাসকের কাছেও চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ও জেলাশাসকের তরফে উত্তর না পাওয়ার অভিযোগ করে পত্রাঘাত করলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। শুধু চিঠি দেওয়া নয়, কার্যত ক্ষুব্ধও তিনি।
মমতাকেও চিঠি অধীরের
করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন প্রদেশ সভাপতি। অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করে চাহিদা মেটাতে চেয়েছিলেন তিনি। আর এজন্যেও মমতার কাছে লিঠি লিখেছিলেণ অধীর। কিন্তু একটা চিঠিরও উত্তর রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান না দেওয়াতে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এই অবস্থায় ফের মমতাকে চিঠি দিয়েছেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, "মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মহোদয়া, আমি আগেও এই মর্মে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানিয়েছিলাম, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে একটি অক্সিজেন প্লান্ট ও দুটি অক্সিজেন পরিষেবা-সহ অ্যাম্বুলেন্সের ব্য়বস্থা করতে চাই। এ বিষয়ে মাননীয় জেলাশাসককেও আমি চিঠি লিখে জানিয়েছি। কিন্তু, আপনার বা জেলাশাসক কোনও তরফেই উত্তর পাইনি। করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে চলেছে। আপনার কাছে বিনীত অনুরোধ, মানুষের অসহায় পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে এই কঠিন সময়ে বিষয়টি বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ করুন।"