মৃত্যু শূন্য
টিকা নেওয়ার পরও কেউ ফের সংক্রমিত হলে তাকে ‘ব্রেকথ্রু সংক্রমণ' বলেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসির দাবির ভিত্তিতেই গবেষণা চালিয়ে এইমস জানাচ্ছে, এপ্রিল থেকে মে, মহামারির দ্বিতীয় ওয়েভের সময়কালে টিকা নেওয়া অনেক ব্যক্তিই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁদের শরীরে ভাইরাল লোডের পরিমাণও অনেক বেশি ছিল। কিন্তু তাঁদের কারও মৃত্যু হয়নি।
৬৩ জন ব্রেকথ্রু সংক্রমণের ওপর সমীক্ষা
৬৩ জন ব্রেকথ্রু সংক্রমণের মধ্যে ৩৬ জন রোগী দু'টি ডোজ পেয়েছেন এবং ২৭ জন কমপক্ষে একটি ডোজ পেয়েছেন। ১০ জন রোগী কোভিশিল্ড ও ৫৩ জন কোভ্যাকসিন ডোজ নিয়েছেন। সমীক্ষায় বলা হয়েছে,মোট ৩৬টি নমুনায় সার্স-কোভ-২-এর বংশধর কোভিডকে পাওযা গিয়েছে, যার মধ্যে উভয় ডোজ নিয়েছে এমন ১৯ জনের মধ্যে ৫২.৮ শতাংশ ও একটি ডোজ নিয়েছে এমন ১৭ জনের মধ্যে ৪৭.২ শতাংশ সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
কত শতাংশ করোনার প্রজাতি
ভারতে প্রথম সনাক্ত হওয়া বি.১.৬১৭ প্রজাতিকে তিনটে ভাগে ভাগ করা হয়েছে বি.১.৬১৭.১, বি.১.৬১৭.২, বি.১.৬১৭.৩। সমীক্ষায় বলা হয়েছে ২৩টি নমুনায় মিলেছে বি.১.৬১৭.২ (৬৩.৯ শতাংশ)। এদের মধ্যে ১২ জনের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে এবং ১১ জনের আংশিক টিকাকরণ। বি.১.৬১৭.১ এবং বি.১.১.৭ পাওয়া গিয়েছে ৪ জন (১১.১ শতাংশ) ও একজনের মধ্যে (২.৮ শতাংশ)।
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল
দেখা গিয়েছে, তাদের শরীরে ৫-৭ দিন টানা জ্বর থাকলেও অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল। তাঁরা পুনরায় আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে ফের অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে এবং তার সঙ্গে টিকা মিশে একটা যৌথ প্রতিরোধ গড়ে উঠছে শরীরে। করোনা টিকা নেওয়ার পর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরে কতদিন থাকবে, শুরু থেকেই অনেকের মনে এই প্রশ্ন নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এইমসের রিপোর্ট কিছুটা স্বস্তি দিল।