৭ মে থেকেই দেশে নিম্নমুখী করোনার গ্রাফ। কমছে প্রতিদিনের সংক্রমণ ও মৃত্যুহার। এরকম অবস্থায় আস্তে আস্তে 'আনলকডাউন'-এর পথে হাঁটতে শুরু করেছে দেশ। কিন্তু এর মাঝেই দেশের মানুষকে সতর্ক করলেন নীতি আয়োগের সদস্য ডক্টর ভি কে পাল।
সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, 'আমরা যদি আবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে সে রকম আচরণ শুরু করি যা গত ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে করেছিলাম তাহলে ভয়ঙ্কর ভাবে ফিরবে করোনার তৃতীয় ঢেউ৷ সেকেন্ড ওয়েভের থেকেও মাত্রাছাড়া হবে সংক্রমণ। কিন্তু যদি আমরা আস্তে আস্তে আনলকডাউনের পথে হাঁটি৷ এবং তারপরও করোনাবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি তাহলে নিম্নমুখীই থাকবে গ্রাফ। নিয়ম মেনে চললে হয়ত তৃতীয় ঢেউ হিসেবে করোনা ফিরতে পারবে না৷
শেষ এক সপ্তাহে দেশের ৩০টি রাজ্যের ৩৪৪ টি জেলায় কোভিড সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে। ৭ মে-র পর থেকে কোভিড সংক্রমণ প্রায় ৬৯ শতাংশ কমেছে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। ডক্টর পালের মতে আনলকডাউনে হুড়মুড়িয়ে যদি আমরা রাস্তায় নামি তাহলে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসা কেউ আটকাতে পারবে না৷ তবে শুধু নিয়ম মানায় নয় পাশাপাশি ভ্যাকসিনেশনের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন ডক্টর ভি কে পাল। আগামী দু'মাস ভারতীয়দের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় দ্রুততার সঙ্গে ভারতের বেশিরভাগ নাগরিককে অন্তত ভ্যাকসিনের একটি ডোজের আওতায় আনার কথা বলেছেন পাল৷
প্রসঙ্গত, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই দেশের মোট জনসংখ্যার বড় অংশকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে মরিয়া মোদী সরকার৷ মঙ্গলবার কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে জুলাইয়ের শেষ কিংবা অগাস্টের প্রথমেই প্রতিদিন ১ কোটি ভ্যাকসিনেশনের পথে হাঁটবে ভারত।