পুনেঃ দেশজুড়ে ক্রমে আক্রান্তের গতি নিম্নমুখী। যা দেখে আশায় বুক বাঁধছে দেশবাসী। তবে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর বিপর্যস্ত অবস্থা এখনও কাটেনি। হাসপাতালে শয্যার অভাব, মিলছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেনও। আর এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের (Corona) বিরুদ্ধে গত বছরের সংক্রমণের সূচনা পর্ব থেকেই দিনরাত এক করে লড়াই করে চলেছে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধারা (Covid Warrior)। শেষে তারাই আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ ভাইরাসে। একে একে সাধারণ মানুষের মতো তাঁরাও ঢোলে পড়ছে মৃত্যুর কোলে।
ঠিক এমন ভাবেই গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ৬ তারিখ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই অবতীর্ণ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মহারাষ্ট্রের (Maharastra) হিঞ্জিঅয়ালি জেলার স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত আশা কর্মী মঙ্গল বলওয়াদে। ওই জেলায় মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের শুরু থেকেই তিনি নিরলস মানুষদের সেবা করছিলেন। রোগীদের পুনর্বাসন, নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রেরণ, অ্যাম্বুলেন্স ও বিছানা পেতে, সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের সন্ধানে বাড়িতে বাড়িতে অনুসন্ধান করার মতো কর্তব্য গুলি তিনি খুব দায়িত্ব সহকারে পালন করছিলেন। আর সেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁর শরীরে থাবা বসায় মারণ ভাইরাস (Corona) করোনা। লড়াইয়ে হার মেনে তিনি মৃত্যুও বরণ করেন।
তাঁর মৃত্যুর পরই নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে তাঁর পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র কল্যান যোজনার আওতার আর্থিক সহায়তা পাইয়ে দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে। আর জেলা প্রশাসনের তরফে এই বিষয়টি কেন্দ্রের কাছে পৌঁছনো মাত্রই ওই আশাকর্মীর ত্যাগের বিষয়টি মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) দরিদ্রকল্যাণ প্রকল্পের আওতায় ওই মৃত আশাকর্মীর পরিবারকে ৫০ লক্ষ্য টাকা আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। এই আর্থিক অনুদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ ভগবান পাওয়ার। আশা কর্মীর মৃত্যুতে ৫০ লক্ষ্য টাকার আর্থিক সহায়তা মেলাতে ওই এলাকাবাসীরা ধন্যবাদ জানাচ্ছে।
অন্যদিকে, পুনে (Pune) জেলায় এখনও পর্যন্ত মারণ ভাইরাস করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১২৪১ জন স্বাস্থ্য কর্মী। তাঁদের মধ্যে ১১৮৭ জন করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। পাশাপাশি মারা গেছেন ৪১ জন কর্মী ও ১৩ জন কর্মী এখনও পর্যন্ত আশঙ্কাজনক।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.