বারাকপুর: করোনাকালে ফের এক দুঃসংবাদ। চরম আর্থিক অনটনে সন্তানকে খুন করে আত্মঘাতী দম্পতি। উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের (Sodepur) বসাক বাগানের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মৃতদেহ গুলি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর্থিক অনটনের (Financial Cricis) ছেলেকে খুন করে দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের (Poice) ।

করোনার (Corona) জেরে গত বছরে একটানা লকডাউনে (Lockdown) বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হন সোদপুরের বসাক বাগানের বাসিন্দা সমীর গুহ। পরে লকডাউন উঠলেও ব্যবসায় (Business) মন্দা কাটেনি। এবছর করোনার সেকেন্ড ওয়েভ আছড়ে পড়তেই ফের রাজ্যে কড়াকড়ি।

বাজার থেকে ব্যবসার টাকাই ঘরে তুলতে পারছিলেন না সমীরবাবু। টাকা না থাকায় সংসারের খরচও জোগাতে পারছিলেন না তিনি। টাকার জোগাড়ে হন্যে হয়ে ঘুরলেও লাভ হয়নি। পরিচিতদের অনেকেরই একই দশা। টাকার অভাবে একদিকে যেমন ব্যবসা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তেমনি সংসারের খরচ চালাতেও পারছিলেন না সমীরবাবু। দুবেলা দুমুঠো ভাতের জন্যও ভাবতে হচ্ছিল তাঁকে।

বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল এই অবস্থা। তবে গত বছরের শেষ দিক থেকে করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতেই পুরোদমে ব্যবসার কাজে লেগে পড়েছিলেন সমীর গুহ। মাসখানেক ঠিকঠাক চলতেই ফের করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা। দেশের অন্য রাজ্যগুলির পাশাপাশি সংক্রমণ বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করে বাংলাতেও। বাধ্য হয়েই সংক্রমণে লাগাম পরাতে ফের রাজ্যে জারি করা হয় বিধি-নিষেধ। যদিও সাধারণ মানুষের স্বার্থে পুরোপুরি লকডাউনের রাস্তায় হাঁটেনি রাজ্য সরকার। নির্দিষ্ট সময়ে দোকান খোলা থাকছে। তবে মহামারীর এই কালে প্রায় সব ব্যবসাতেই মন্দার ছায়া।

পেশায় রেডিমেড ব্যবসায়ী সোদপুরের বসাক বাগানের বাসিন্দা সমীর গুহ। অন্য অনেকের মতোই তিনিও করোনা আবহে বিপুল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিলেন। ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সংসার চালাবেন তা ভেবেই উছতে পারছিলেন না গুহ দম্পতি।

শুক্রবার সকালে গুহ বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই খবর দেন থানায়। পুলিশ এসে বাড়ির দরজা ভেঙে সমীর গুহ ও তাঁর স্ত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার করেন। দম্পতির ছেলেরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সন্তানকে খুনের পর দম্পতি আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা আছে কিনা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.