হাওড়ায় রাতের শহরে এটিএম কাউন্টারগুলিতে এবার বাড়তি নজরদারি শুরু করল পুলিশ। মাত্র দিন পাঁচেক আগেই অভিনব পদ্ধতিতে এটিএম লুঠ হয়েছিল খোদ কলকাতায়।
রাজধানী দিল্লির পর কলকাতার তিনটি এটিএম থেকে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে প্রায় কয়েক লাখ টাকা লুঠ হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এটিএম না ভেঙেই ওই টাকা লুঠ হয়। জানা যায়, একটি বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সার্ভার ও এটিএমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেই ওই বিশাল অঙ্কের টাকা বের করে নেওয়া হয়। খোদ কলকাতায় এই অভিনব এটিএম জালিয়াতি নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
জানা যায়, এটিএম থেকে টাকা তুলতে সাইবার জালিয়াতরা প্রথমে একটি যন্ত্রের সাহায্যে নিচ্ছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে এটিএম থেকে টাকা বের করে নিচ্ছে চক্রটি। এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাতে হাওড়াতেও এটিএম'গুলোতে নজরদারি চালানো পুলিশ।
হাওড়া থানা এলাকায় শহরের বিভিন্ন এটিএম কতটা সুরক্ষিত তা জানতে পুলিশ এদিন রাতে পথে নামে। বিভিন্ন এটিএম কাউন্টার পরীক্ষা করে দেখে। সিসিটিভি বা অন্যান্য ব্যবস্থা যথাযথ রয়েছে কিনা তাও দেখা হয়। এটিএম কাউন্টারে ঢুকে পুলিশ মেশিন ও ভল্ট পরীক্ষা করে দেখে।
অন্যদিকে, কলকাতায় এটিএম প্রতারণার তদন্তে ভিন রাজ্যে গিয়েছে পুলিশের ৩টি টিম।
সূত্রের খবর, এর আগে হরিয়ানার ফরিদাবাদে একই ধরনের প্রতারণার অভিযোগে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাকে জেরার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এটিএম কাণ্ডে পুলিশের হাতে এসেছে সিসিটিভি ফুটেজ। তার থেকে সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।
প্রতারণার জন্য এটিএমে কী ধরনের ডিভাইস ব্যবহার করেছিল অভিযুক্তরা, তা বোঝার চেষ্টা করছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। অভিযুক্তরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ পুলিশের।
তার যে সব হোটেল বা গেস্ট হাউসে থাকতে পারে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।