স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ইমেলের মারফৎ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে অভিযোগ জানাতে পারবেন ঘরছাড়ারা৷ লিগ্যাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে ইমেলের মাধ্যমেও অভিযোগ জানানো যাবে৷ শুক্রবার এই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ৷

ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ইতিমধ্যেই তারা সরাসরি পদক্ষেপ করেছে৷ ঘরছাড়াদের ফেরাতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে আদালত। এই কমিটিতে আছেন রাজ্য ও কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য এবং রাজ্য লিগাল সার্ভিস কমিটির সদস্যরা। শুক্রবার বেঞ্চের নির্দেশ, হিংসার কারণে যাঁরা ঘরে ফিরতে পারেননি, রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারবেন। ইমেলের মাধ্যমেও ওই অভিযোগ জানানো যাবে। কত সংখ্যক অভিযোগ জমা পড়ল, সেই তালিকা আদালতকে জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। তার পরই এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে আদালত। এই মামলা পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী শুক্রবার।

গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়। তারপর থেকে রাজ্যে হিংসার আবহ তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে রাজ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বেড়েছে। নিহত হয়েছেন প্রায় ১৬ জন। এঁদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সদস্যরা রয়েছেন। হিংসার নিহত ২ বিজেপি কর্মীর পরিবারের তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয় যে, রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে নয়, এসব ঘটনার জন্য আলাদা করে বিশেষ তদন্তকারী দল বা SIT তৈরি করা হোক।

এ নিয়ে রাজ্যকে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারকে নোটিস দেওয়া হয়। কলকাতা হাই কোর্টের ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলার শুনানি শুরু হয়। পাঁচ সদস্যের ওই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। রাজ্য সরকারের তরফে ওই পাঁচ সদস্যের বেঞ্চে জানানো হয়, অশান্তি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ৩ মে পর্যন্ত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতে ছিল বলেও উল্লেখ করা হয়। আজই এই মামলার শুনানি ছিল।

 আবেদনকারীদের অভিযোগ অনুযায়ী, ভোটের পর রাজনৈতিক সংঘর্ষ, হামলার আশঙ্কায় প্রতিবেশী রাজ্যগুলিতেও গাঢাকা দিতে বাধ্য হয়েছেন অনেক রাজনৈতিক দলীয় কর্মীরা। বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী পালিয়ে গিয়েছেন অসমের (Assam) ধুবড়িতে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.