সাইক্লোন প্রসঙ্গে শিবসেনা
'সাইক্লোন ইয়াস আসে চলেও গেল, তবে ঔদ্ধত্যের সাইক্লোন বঙ্গোপসাগরের মাথায় ঘুরছে। যেমন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সচিব প্রধানমন্ত্রী মোদীর সফরকালে তাঁর সাইক্লোন সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেননি।' মমতার সমর্থনে বিভিন্ন সময় গর্জে ওঠা শিবসেনা এবার এমন এক বক্তব্য রাখায় রীতিমতো চড়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদ। বাংলার ভোটের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'বাঘিনী' বলে আখ্যা দেওয়া শিবসেনার এই স্টান্স আরও বিশ্লেষিত হয়েছে 'সামনা'র প্রকাশিত তাদের সম্পাদকীয়তে।
কেন্দ্রকে তোপ
শিবসেনা তার মুখপত্র "সামনা'তে জানিয়েছে, কেন্দ্রের উচিত রাজনৈতিক জয় পরাজয় নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গি আরও বড় করা। তা না থাকলে দেশের একাত্মবোধ ভাঙতে পারে। রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রের তরফে চাপ দেওয়া কোনও মতেই সঠিক নয়।
অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলের প্রসঙ্গ উত্থাপন
প্রসঙ্গত, বাংলার রাজনীতির ট্রেন্ড যে আগামীদিনে জাতীয় রাজনীতির ট্রেন্ড সেট করবে তা আগেই বলেছে শিবসেনা। এবার মোদী বনাম মমতার সংঘাতের প্রসঙ্গে , শিবসেনা নিজের সম্পাদকীয়তে তুলে ধরেছে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলের কথা। শিবসেনা বলছে, নরসিমা রাও, মনমোহন সিং, রাজীব গান্ধী বা অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কখনও কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত দেখা যায়নি। তাঁদের আমলে কোনও সংঘাত দেখা দিলে দুই তরফে বৈঠক করে তা মিটিয়ে নেওয়া হত। শিবসেনা বলছে, সেই সমস্যা সমাধানে একটি সুদুর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি থাকত। শিবসেনার মুখপত্র লিখছে, সেই সময় রাজ্য যা চাইত তার থেকে বেশি পেত।
'একজন আমলা কী করে অপরাধী হন?'
প্রসঙ্গত, আলাপন ইস্যুতে ফৌজদারী মামলার খাড়াও ঝুলেছে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিবের মাথায়। সেই প্রসঙ্গে , শিবসেনার প্রশ্ন , 'একজন আমলা কী করে অপরাধী হন যদি তিনি তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করেন? যদি তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পালন করতেন তাহলে তো রাজ্যও তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারত।'
দিদির পাশে থেকে গর্জে উঠল শিবসেনা
শিবসেনা নিজের বক্তব্যে সাফ জানিয়েছে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে শাস্তি দিয়ে মমতাকে শিক্ষা দিতে চাইছে কেন্দ্র। এটা দেশে ব্যুরোক্রেসিতে একটি ভয়ঙ্কর সময়। এটা ঔদ্ধত্যের একটি দিক।