করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই ভালো নেই মিলখা সিং। চার দিন আগে মোহালির বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পরিবারের অনুরোধে ছাড়া হয়েছিল কিংবদন্তি এই অলিম্পিয়ানকে। কিন্তু ৯১ বছরের প্রাক্তন এই দৌড়বিদের অক্সিজেনের মাত্রা কমায় বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে চণ্ডীগড়ের সরকারি হাসপাতালে।
দিন পনেরো আগে থেকেই মিলখা সিং প্রথমে আইসোলেশনে ছিলেন। বাড়ির পরিচারক করোনা আক্রান্ত হতেই মিলখা সিংয়ের পরিবারের সকলের করোনা পরীক্ষা করা হয়। মিলখা সিংয়ের রিপোর্ট পজিটিভ হলেও প্রথমদিকে তাঁর কোনও শারীরিক উপসর্গ ছিল না। তাঁর গল্ফার পুত্র জীভ মিলখা সিং দেশে ফেরার পর মিলখা সিংয়ের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে মোহালির ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার কয়েকদিন পরেই কোভিড নিউমোনিয়া নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় মিলখা সিংয়ের স্ত্রী তথা ভারতের ভলিবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ৮২ বছরের নির্মল কৌরকে। আজও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি আইসিইউতেই রয়েছেন। অক্সিজেনের মাত্রা ওঠা-নামা করছে।
মিলখা সিংকে দিন চারেক আগে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মিলখার চিকিৎসক-কন্যা মোনা বাবা-মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে চণ্ডীগড়ে চলে এসেছেন। মিলখাকে অক্সিজেন সাপোর্টেই বাড়িতে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পরিবার। কিন্তু ফের এদিন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চণ্ডীগড়ের পিজিআইএমইআরের কোভিড হাসপাতালের আইসিইউতে তাঁকে রাখা হয়েছে। যদিও তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এশিয়ান গেমসে চারবার সোনা জেতেন মিলখা সিং। ১৯৫৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে চ্যাম্পিয়ন হন। তাঁর সেরা পারফরম্যান্স ১৯৬০ সালে রোম অলিম্পিক্সে ৪০০ মিটার ফাইনালে চতুর্থ স্থান অধিকার করা। সেখানে তিনি যে সময় করেছিলেন সেই রেকর্ড ভারতীয়দের মধ্যে ৩৮ বছর ধরে অক্ষত থাকার পর ১৯৯৮ সালে ভাঙেন পরমজিৎ সিং। ১৯৫৬ ও ১৯৬৪ সালের অলিম্পিক্সেও অংশ নিয়েছিলেন মিলখা সিং। ১৯৫৯ সালে ভূষিত হন পদ্মশ্রী সম্মানে।