তৃণমূলে আসতে চান লক্ষ্মণ শেঠ
কুণাল ঘোষ-লক্ষ্মণ শেঠকে একমঞ্চে দেখা গেলেও ভোটের আগে শাসকদলে যোগ দেণনি তিনি। তবে জানা যাচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতি দেখে শাসকদল তৃণমূলে ফিরতে চান বলে ইতিমধ্যে বার্তা পাঠিয়েছেন লক্ষ্মণ শেঠ। এমনটাই জানা যাচ্ছে। তৃণমূল সুপ্রিমোর কাছে এই আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তবে সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটে হলদিয়াতে পিছনে থেকে শাসকদলকে সাহায্য করেছেণ লক্ষ্মণ এবং তাঁর টিম। এবার অফিসিয়ালি শাসকদল তৃণমূলে আসার পালা। আর সেই কারণে এই আবেদন বলে জানা যাচ্ছে।
সিদ্ধান্ত হয়নি শাসকদলে
শুধু লক্ষ্মণ শেঠই নয়, শাসকদল তৃণমূলে ফিরতে চান একাধিক নেতাই। সেই তালিকাতে বিজেপিরও একাধিক নেতার নাম রয়েছে। যারা ভোটের আগে দলকে ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তাঁরা এখন ফরতে চেয়ে আবেদন করেছেণ বলে দাবি শাসকদলের একাধিক নেতার। তাঁদের নেওয়ারও বিষয়েও কোণও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যদিও সাংগঠনিক বৈঠক ডেকেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে যোগদান নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে বলে খবর। লক্ষ্মণ শেঠের বিষয়টিও উঠে আসতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
একমঞ্চে কুণাল-লক্ষ্মণ
গত বছর শেষে হলদিয়াতে একমঞ্চে দেখা গিয়েছিল কুণাল এবং লক্ষ্মণ। সেই সময় হলদিয়ার প্রাক্তন সাংসদকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি তা হলে তৃণমূলে যোগ দেবেন? প্রথমে তিনি বিষয়টি উড়িয়ে দেন। বলেন, ‘‘তৃণমূলে কেন যাব? এমন অনুমান করে কী লাভ?'' এর পরেই লক্ষ্মণ তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলেন, ‘‘পৃথিবীতে সবই হতে পারে।'' এই প্রসঙ্গে কুণালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘মধুসূদন মণ্ডল হলদিয়ায় ক্ষুদিরামের জন্মদিবস পালন করছেন। তাঁর আমন্ত্রণ পেয়েই এসেছি। আয়োজকরা কাকে ডাকবেন সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের ব্যাপার। লক্ষ্মণ শেঠ পুরনো পরিচিত। তিনি সিপিএমের প্রাক্তন সাংসদ। তিনি তৃণমূলে যোগ দেবেন বলে যে গুঞ্জন। তা নিয়ে কিছু বলতে পারব না।''
তৃণমূলে যোগের মূল বাধা দিল শুভেন্দু
লক্ষ্মণ শেঠের অঙ্গুলিহেলনে নন্দীগ্রামের আন্দোলন ঘটে। সিপিএমের হার্মাদরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নন্দীগ্রামের ঘটনায় উত্থান শুভেন্দুর পতন ঘটে বামেদের। কার্যত এরপরেই রাজ্যে পালাবদল ঘটে। সরকারের পরিবর্তনে লক্ষ্মণের জেলযাত্রা। দল থেকে সাসপেন্ড সহ একাধিক ঘটনা ঘটে তাঁর সঙ্গে। এরপর জেল থেকে বেরিয়েই বহিস্কৃত লক্ষ্মণ তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় বড় বাধা ছিল শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু আজ শুভেন্দু বিজেপিতে। আর সেই জায়গাতে এবার লক্ষ্মণের আগমণ ঘটতে চলেছে? প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলের।