নয়াদিল্লি: যে ক্যারোলিনা মারিনের(Carolina Marin) কাছে হেরে পাঁচ বছর আগে রিওতে(Rio Olympics 2016) তাঁর স্বর্নপদক হাতছাড়া হয়েছিল সেই মারিন নেই টোকিও গেমসে(Tokyo Olympics 2020)। কেরিয়ারে বরাবরই শক্ত গাঁট স্প্যানিশ প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় টোকিওয় পদক জয়ের সম্ভাবনা কি উজ্জ্বল হল? পুসারলা ভেঙ্কট সিন্ধু(PV Sindhu) কিন্তু একদমই সেটা মনে করছেন না।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া(TOI)-কে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে সিন্ধু জানালেন, ‘টোকিওয় পদক জয় সহজ হবে না। প্রথম যে ১০ জন শাটলার যাচ্ছেন প্রত্যেকেই সমমানের। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিযোগীতাও ভীষণই উচ্চমানের হতে চলেছে।’ তবে কোর্টের বাইরে পরম বন্ধু ক্যারোলিনা মারিনকে যে টোকিওয় মিস করবেন সিন্ধু সেটা কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন। হায়দরাবাদি শাটলারের কথায়, ‘এটা খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যের যে টোকিওয় ওঁ অংশ নিতে পারছে না। আশা করি ওঁ দ্রুত সেরে উঠবে। আমাদের মধ্যে সবসময়ই সুস্থ প্রতিযোগীতা চলেছে এবং কোর্টের বাইরে আমরা ভীষণই ভালো বন্ধু।’

গাচিবৌলি স্টেডিয়ামে(Gachibowli Stadium) আপাতত টোকিও গেমসের প্রস্তুতিতে মগ্ন সিন্ধু। সঙ্গী অবশ্যই তাঁর দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক তাই স্যাং(Park Tae Sang)। গাচিবৌলির প্রস্তুতি সম্পর্কে সিন্ধু বলছেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে অনুশীলন করি। আসনে গাচিবৌলি আন্তর্জাতিক এরিনার মতো অনুভূতি জোগায়। আয়তনে বিশাল এটা। অলিম্পিকে যেহেতু ব্যাডমিন্টন ইভেন্টগুলো বড় স্টেডিয়ামে খেলা হবে সেহেতু ওই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমার এখানে প্রস্তুতি নেওয়া। অলিম্পিকের ব্যাডমিন্টন ভেন্যু সম্পর্কে একটা ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করছে এই স্টেডিয়াম।’

সম্প্রতি মানসিক স্বাস্থ্যের(Mental Health) কথা ভেবে ফরাসি ওপেন থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন জাপানি টেনিস প্লেয়ার নাওমি ওসাকা(Naomi Osaka)। জাপানি তারকার মনে হয়েছিল ম্যাচ পরবর্তী ইন্টারভিউগুলো মুষড়ে পড়া প্লেয়ারদের আরও মানসিকভাবে আঘাত করে। সেই কারণেই টুর্নামেন্ট চলাকালীন মিডিয়া বয়কট করতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও সিন্ধু বলছেন, মিডিয়া তাঁর প্রতি এখনও পর্যন্ত এমন কঠোর হয়নি। ওঁরা যা প্রশ্ন করে আমি অ্যাথলিট হিসেবে উত্তর দিই। তবে ওসাকার পরিস্থিতি আমাদের বুঝতে হবে এবং ওঁর সিদ্ধান্তকে সম্মান করতে হবে। ওঁ নিশ্চয় কোনও কারণে হতাশ। ওঁকে নিজের মতো থাকতে দিতে হবে।’

সাইনা নেহওয়াল(Saina Nehwal), কিদাম্বি শ্রীকান্তের(Kidambi Srikanth) অলিম্পিকে না যেতে পারা নিয়ে সিন্ধু বলছেন অতিমারী আমাদের পছন্দ কিংবা চাওয়া-পাওয়াকে সীমিত করে তুলেছে। রিওর রুপোজয়ী বলছেন, ‘নিউ নর্ম্যালের সঙ্গে আমাদের অভ্যস্ত হতে হবে। এটা শুধু আমাদের সমস্যা নয়। বিশ্বের অনেক প্লেয়ার এমনই যোগ্যতা-অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন। আয়োজকদের পক্ষেও দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রেখে নিয়মকানুন মেনে টুর্নামেন্ট আয়োজন সবসময় সম্ভব হচ্ছে না।’

অলিম্পিকে যেতে নিরাপদ বোধ করবেন? উত্তরে তারকা শাটলার জানান, ‘দেশ ছাড়ার আগে এবং ওখানে পৌঁছে পরীক্ষা হবে। এরপর যতদিন ওখানে থাকব রোজ কোভিড পরীক্ষা হবে। আমরা আয়োজকদের তরফ থেকে সেফটি রুল(Safety Rules) পেয়েছি। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং(Social Distancing) মেনে চলতে হবে। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে সবসময়। এমনকি ক্যাফেটেরিয়াতেও। আমাদের সর্বোচ্চ স্তরের স্বাস্থ্যবিধি এবং সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং মানতে হবে। আয়োজকরা প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে, অ্যাথলিটদের অনুসরণ তো করতেই হবে।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.