স্ত্রী-ছেলের কথা শোনাটা ভুল ছিল, দেখা হলে মমতার পা ধরে ক্ষমা চাইব! বিস্ফোরক বিজেপি নেতা

১৯ এ হাঁফ ২১ এ সাফ! আর এই টার্গেট নিয়েই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনে নামে বঙ্গ বিজেপি। মূলত দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বেই বাংলার ভোটে লড়াইয়ে নামেন নেতা-কর্মীরা। কার্যত ভোটের ফলাফল দেখা যেতে দেখে যায় যে বাংলায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি।

সরকার গড়ার স্বপ্ন দেখা বিজেপিকে ৭৫টি আসন পেয়েই খুশি থাকতে হয়েছে। আর এই ফলাফলের পরেই বিজেপি বিদ্রোহ দেখা দিয়েছে। দলের মধ্যেই নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শুধু তাই নয়, ভাঙ্গতে শুরু করেছে দলও।

বিজেপিতে বড়সড় ধস নামার আশঙ্কা

আগামিদিনে বঙ্গ বিজেপিতে বড়সড় ধস নামতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সম্প্রতি অমিয় শাহের কাছে দেওয়া রিপোর্টে এমনটাই আশঙ্কা গোয়েন্দাদের। উল্লেখ্য, ভোটের কারণ খুঁজতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের ব্যবহার করা হয়েছ। সম্প্রতি সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্ট বলছে একাধিক বিজেপি বিধায়ক দলবদল করতে পারেন। নাম লেখাতে পারেন শাসকদল তৃণমূলে। ইতিমধ্যে শাসকদলের সঙ্গে তাদের একটা অংশ যোগাযোগ শুরু করে দিয়েছে বলে দাবি রিপোর্টে।

খোঁজ নেই দলবদলুদের

বিধানসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই একাধিক নেতা বিজেপির থেকে মুখ ফিরিয়েছেন। এমনকি যারা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছিলেন তাদেরও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। যাদের মধ্যে একাধিক প্রভাবশালী নেতাও রয়েছে। দলে এই মুহূর্তে তাঁদের অবস্থান কি তা নিয়ে খোদ রাজ্য বিজেপিতে প্রশ্ন উঠছে। আর সেই তালিকাতে রয়েছেণ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতাও। ইতিমধ্যে তৃণমূলে ফিরতে চান বলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। যার মধ্যে সোনালি গুহ, দিবেন্দ্যু বিশ্বাসের মতো নেতাও রয়েছেন।

প্রাক্তন মন্ত্রীর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে ধোঁয়াশা

শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। অর্দ্ধ শতকেরও বেশী রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা তাঁর। কংগ্রেসের হাত ধরে রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চে প্রবেশ হলেও তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই কাজ করছিলেন। একটা সময় ঐ দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। ছিলেন রাজ্যের বস্ত্র দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী। এমনকি কংগ্রেস ও পরে তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়ে প্রায় ৩৪ বছর বিষ্ণুপুর পৌরসভার পৌরপ্রধানের দায়িত্ব সামলানো শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এখন কোন দলে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।

আমার ভুল হয়েছিল

সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিষ্ণুপুর পৌরসভার 'প্রশাসক' পদ থেকে তাঁকে সরানোর কারণে ২০২০-র ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজ মাঠের সভায় অমিত শাহের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে ঐ দলের টিকিট না পেয়ে ফের তৃণমূলে ফেরার চেষ্টায় দুর্গাপুর ও কলকাতায় গিয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করলেও তিনি ব্যর্থ হন বলে খবর। অন্যদিকে বিজেপির সঙ্গেও তৈরি হয় দূরত্ব।
এই মুহূর্তে তিনি তৃণমূলেই আছেন, দাবি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, স্ত্রী, ছেলে ও দলের কর্মীর কথা না শুনে বিজেপিতে যাওয়াটা আমার ভুল হয়েছিল। তাঁর দাবি, এবার বিধানসভা ভোটে আমি নিজে বিষ্ণুপুরে তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছি । আমি কোন পদে না থাকলেও তৃণমূলেও আছি।

পা ধরে ক্ষমা চাইব

একই সঙ্গে দুর্গাপুর ও কলকাতায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও সুব্রত বক্সী, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর দেখা হলেও অবশ্যও পা ধরে ক্ষমা চেয়ে নেবেন বলেও দাবি প্রাক্তন রাজ্যের মন্ত্রীর।

কি বলছে তৃণমূল-বিজেপি

যদিও দলের সঙ্গে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জীর কোন যোগাযোগ নেই। দাবি জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ শীটের। তিনি বলেন, ভোটের আগে উনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই সময় জেলা তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র সাংবাদিক সম্মেলন করে ওনার সঙ্গে দলের কোন যোগাযোগ না থাকার কথা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন বলে তিনি জানান। অন্যদিকে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজিত অগস্থী বলেন, উনি দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেননি। তবে দলীয় কোন পদে না থাকলেও একাধিকবার দলীয় কার্যালয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এসেছেন বলে তিনি জানান।

More BJP News  

Read more about:
English summary
EX-TMC MLA Shyamaprasad Mukherjee Says 'Mentally Tortured In bjp join tmc EX-TMC MLA Shyamaprasad Mukherjee Says 'Mentally Tortured In bjp join tmc