দেশজুড়ে দ্বিতীয় পর্বের করোনাকালে অক্সিজেন, টিকা সঙ্কটে সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে উদ্বেগ বাড়িয়েছে ভেন্টিলেটরও। এমনকী প্রশ্নের মুখে পড়েছে পিএম কেয়ার্স তহবিলের টাকায় কেনা ভেন্টিলেটরের কার্যকারিতা। এমনকী ক্রুটিযুক্ত ভেন্টিলেটর নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরাও। এই অচল ভেন্টিলেটর নিয়ে কেন্দ্রকে কার্যত তুলোধনা করল বোম্বে হাইকোর্ট।
এদিকে মহারাষ্ট্র সহ একাধিক রাজ্যে অক্সিজেন সঙ্কট মেটাতে পিএম কেয়ার্স তহবিল থেকে একাধিক ভেন্টিলেটর দেওয়া। কিন্তু শুধুমাত্র মারাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই দেখা য়ায় মারাঠওয়াদা অঞ্চলে সরবরাহ করা ১৫০টি ভেন্টিলেটরের ১১৩টি ভেন্টিলেটর ত্রুটিপূর্ণ। একই অভিযোগ আসতে থাকে অন্যান্য রাজ্য থেকেও। কেন এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে এই ধরণের অচল ভেন্টিলেটর পাঠানো হচ্ছে সেই বিষয়ে আগেই কেন্দ্রের কাছে জবাব তলব করেছিল মঙ্গলবার বম্বে হাইকোর্টের আওরঙ্গবাদ বেঞ্চ।
সূত্রের খবর, পিএম কেয়ার্সের টাকায় এই ভেন্টিলেটর তৈরির বরাত পেয়েছিল একটি গুজরাতি কোম্পানি। বুধবার আদালতে এই বিষয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতিরা। তাদের সাফ বক্তব্য, গুজরাতি কোম্পানির হাত ধরে কেন্দ্রের তহবিল থেকে খারাপ ভেন্টিলেটর হলে তার দায় নিতে হবে কেন্দ্রকেই। এমনকী এই ভেন্টিলেটরের কারণে মানুষের মৃত্যুর দায়ও সরকারকেই নিতে হবে। সরকার কখনওই এই অভিযোগ থেকে মুখ ফেরাতে পারে না।
ক্ষমতার আসার পর থেকে নদীবাঁধের কোনও কাজই করেনি মমতার সরকার, বিস্ফোরক শুভেন্দু
বুধবার গোটা সঙ্কট নিয়েই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কার্যত তীব্র ক্ষোব প্রকাশ করেন বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি রবীন্দ্র ঘুগে এবং বিচারপতি বি.ইউ. দেবাদ্বরএদিকে বোম্বে হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পর ফের তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিকে আর আগেই পিএম কেয়ারস ফান্ডের টাকায় কেনা ভেন্টিলেটরের সাথে প্রধানমন্ত্রীর তুলনা টেনে তীব্র কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। সমালোচনার সুরে তিনি বলেন, কোনটাই আদপে দরকারের সময় কাজে আসেনা। কিন্তু বিজ্ঞাপন ও জনসংযোগে দুইয়ের জুড়ি মেলা ভার।