কলকাতা: স্বস্তি বাড়িয়ে দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে রাজ্যের করোনা (Corona)সংক্রমণ। প্রতিদিন কমছে আক্রান্তের সংখ্যা, পাশাপাশি কমছে মৃতের সংখ্যাও। দিন কয়েক আগেও রাজ্যে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ১৭ হাজারের আশেপাশে ছিল। সেখানে গত একদিনে কমে হয়েছে ৮ হাজার ৮১১। যা নিঃসন্দেহে আশার আলো দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে (West Bengal)একদিনে ৮ হাজার ৮১১ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের হদিস মিলেছে। তারমধ্যে শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 PGS) আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৮২৪ জন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের নিরিখে প্রথম স্থানে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। ধারাবাহিকভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তিলোত্তমা। স্বস্তি দিয়ে কমছে কলকাতার (Kolkata) দৈনিক সংক্রমণ। সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ৯৭৬ জন। প্রায় একমাস পরে কলকাতার দৈনিক সংক্রমণ এক হাজারের কম। দক্ষিণ ২৪ পরগনাকে পেছনে ফেলে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে হাওড়া। একদিনে সংক্রমিত সেখানকার ৬৫৬ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। সেখানে একদিনে আক্রান্ত হয়েছে ৫৯০ জন। উত্তরবঙ্গে করোনাগ্রাফ নিম্নমুখী হলেও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দার্জিলিং। সেখানে একদিনে ৫৪১ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ লক্ষ ০৩ হাজার ৫৩৫ জন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে ১০৮ জন। মৃত্যুতে প্রথমেই আছে উত্তর ২৪ পরগনা ,তারপরে আছে কলকাতা। সেখানে যথাক্রমে ৩০ জন ও ২৭ জন মারা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৯২১। একদিনে করোনাকে জয় করে বাড়ি ফিরেছে ১৬ হাজার ৯৩৮ জন। দৈনিক আক্রান্তের থেকে সুস্থতার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনাজয়ীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ ২৫ হাজার ৮৩৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতার হার ৯৪. ৪৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আবার অসহযোগিতার অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন বণিকসভার বৈঠকে তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের একার পক্ষে গোটা রাজ্যে টিকাকরণ (Vaccination) সম্ভব নয়। সেই কারণে সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.