প্যারিস: অনুরাগীরা তাঁকে চেনেন আদ্যোপ্রান্ত একজন নিরীহ এবং মিতভাষী ক্রীড়াবিদ হিসেবে। সেলিব্রেশনে যেমন শান্ত তেমনই হতাশার বহিঃপ্রকাশও থাকে সীমার মধ্যে। এহেন রজার ফেডেরার (Roger Federer) কোর্টে চেয়ার আম্পায়ারের (Chair Umpire) সঙ্গে তর্ক জুড়েছেন এমন দৃশ্য কিন্তু বিরল। তবে বৃহস্পতিবার সেটাই ঘটল ফরাসি ওপেনে (French Open)। ক্রোয়েশিয়ার মারিন চিলিচের (Marin Cilic) বিরুদ্ধে এদিন দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন ফেডেরার।
দ্বিতীয় সেট খোয়াতে হলেও ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিটের লড়াইয়ে সুইস কিংবদন্তির আজকের জয় যে খুব কষ্টার্জিত তা মোটেই নয়। ম্যাচ জয়ের থেকেও যে খবরে এদিন বেশি করে ফেডেরার শিরোনামে এলেন সেটি ঘটে ম্যাচের দ্বিতীয় সেট চলাকালীন। প্রথম সেট জয়ের পর দ্বিতীয় সেটে তখন ১-৩ পিছিয়ে ফেডেরার। ঘাম মুছে কোর্টের ধারে টাওয়াল রেখে ফিরতেই চেয়ার আম্পায়ার ফেডেরারকে সময় নষ্টের অভিযোগে সতর্ক করেন। কিন্তু ‘ফেডেক্স’ও ছাড়ার পাত্র নন। তিনি গিয়ে তর্ক জুড়ে দেন চেয়ার আম্পায়ার এমানুয়েল জোসেফের (Emmanuel Joseph) সঙ্গে। প্রায় মিনিটতিনেক ধরে তর্ক চলার পর ম্যাচে ফেরেন সুইস তারকা।
তবে ফেডেরার জানিয়ে যান যে তিনি সতর্কতায় এতটুকু ভয় পাননি। যাইহোক চেয়ার আম্পায়ারের সঙ্গে ঝামেলার পর দ্বিতীয় সেট হারতে হলেও তৃতীয় এবং চতুর্থ সেট জিতে তৃতীয় রাউন্ড বা শেষ ষোলো নিশ্চিত করেন ফেডেরার। ২০টি মেজর জয়ীর পক্ষে এদিন ম্যাচের ফল ৬-২, ২-৬, ৭-৬(৭/৪), ৬-২। ২০১৪ যুক্তরাষ্ট্র ওপেন জয়ী চিলিচের বিরুদ্ধে এই নিয়ে ১১ বার মুখোমুখি হলেন ফেডেরার। যার মধ্যে ১০ বারই জয় ছিনিয়ে নিলেন তিনি। শেষ ষোলোয় জার্মানির ডমিনিক কোয়েপফারের (Dominik Koepfer) মুখোমুখি হবেন ‘ফেডেক্স’।
অন্য ম্যাচে সহজ জয়ে রোলাঁ গারোর পরের রাউন্ডে পৌঁছে গেলেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। ৩৫০তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম ম্যাচে এদিন ঊরুগুয়ের পাবলো কুয়েভাসকে (Pablo Cuevas) স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিলেন সার্বিয়ান তারকা। ‘জোকারে’র পক্ষে এদিন ম্যাচের ফল ৬-৩, ৬-২, ৬-৪। শেষ ষোলোয় লিথুয়ানিয়ার রিচার্ডাস বেরাঙ্কিসের (Richardas Berankis) মুখোমুখি হবেন ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক। এদিন ম্যাচ জিতে জকোভিচ জানান, ‘আমি মনোসংযোগ থাকার চেষ্টা করে গিয়েছি। আমার মনে হয় তৃতীয় সেটটা আমার কাছে ভীষণ কঠিন ছিল কারণ ওঁ (কুয়েভাস) শেষদিকে খেলার মান অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছিল।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.