মুম্বই: বলিউডের শাহেনশাহের বিবাহ বার্ষিকী আজ। উনিশশো তিয়াত্তর (1973) থেকে দু’হাজার একুশ (2021) এই দীর্ঘ সময়ের পথ চলাতে খুব একটা বিতর্ক কখনই আসেনি। নিজেদের বিয়ের মুহূর্তের একটি ছবি শেয়ার করে অমিতাভ বচ্চন ( Amitabh Bachchan) সবার কাছে তার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন। সুখে-দুখে সময় কাটিয়ে বিয়ের আটচল্লিশতম বছরে পদার্পণ করল এই জুটি ।

এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে হোয়াইট রঙের পাঞ্জাবিতে অমিতাভ জয়ার মাথায় সিঁদুর তুলে দিচ্ছেন। জয়া বচ্চনের (Jaya Bachchan) পড়েনে গারো লাল রঙের বেনারসি। ভূমি পেডনেকার (Bhumi Pednekar) শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন ‘হ্যাপি অ্যানিভার্সারি লেজেন্ডস’। শিল্পা শেট্টি লিখেছেন, ‘হ্যাপি অ্যানিভার্সারি অমিতাভ বচ্চন জি এবং জয়া আন্টি। আগামী ভালবাসায় ভরা দিনগুলোর শুভেচ্ছা।’

অভিনেত্রী ঊষা যাদব (Usha Yadav) লিখেছেন, রিতেশ দেশমুখ (Ritesh Deshmukh), দিয়া মির্জা(Dia Mirza), রাহুল দেব (Rahul Dev), মনিষ পাল (Manish Paul) সহ আরো অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই তারকা দম্পতিকে। অমিতাভ এবং জয়ার বিয়েতে যে ছবিটির গুরুত্ব সবথেকে বেশি তা হল ‘জাঞ্জীর’ ( Zanjeer)।

এই ছবির অসাধারণ সাফল্যের পর অমিতাভ নিজের বাবাকে জানান তিনি বন্ধুদের সঙ্গে লন্ডনে যেতে চান। অমিতাভের বাবা হরিবংশ রাই বচ্চন (Harivansh Rai Bachchan), অভিনেতাকে প্রশ্ন করেন তাদের এই যাত্রাতে জয়া থাকছেন কিনা। অমিতাভের উত্তর ‘হ্যাঁ’ হওয়াতে, তার বাবা বলেন লন্ডনে যাওয়ার আগে যেন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

নিজেদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে অমিতাভ বলেছিলেন,’ বিয়ের জন্য ভারতীয় পুরুষ যেমন পোশাক পড়েন আমি সেরকম পোষাক পড়েই গাড়িতে উঠেছিলাম। ইচ্ছা ছিল নিজে গাড়ি চালিয়ে ,মালাবর পাহাড়ে যাব যেখানে জয়া ও তার বন্ধুরা সেই সময় উপস্থিত ছিল। কিন্তু আমার ড্রাইভার নাগেশ আমাকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় এবং জোর করে বলে যে সে গাড়ি চালাবে।

যাই হোক বিয়ের জন্য আমরা ‘মঙ্গল’ অর্থাৎ যেখানে বিয়ের অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল, সেখানে পৌঁছই। হঠাৎই অঝোরে বৃষ্টি নামে। তাই দ্রুততার সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টার মধ্যেই বিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। তারপরের দিন আমি আর জয়া জীবনে প্রথমবারের জন্য লন্ডনে যাই।’ জাঞ্জীর ছবির সাফল্য এবং লন্ডনের অবদান কিন্তু এই বিয়েতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.