শুরুটা হয়েছিল অভিষেককে দিয়ে
বুধবার সন্ধেয় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে গিয়েছিলে বাইপাসের ধারে বেসরকারি হাসপাতলে। সেখানে ইকমো সাপোর্টে রয়েছেন মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়। অভিষেক পরে জানান, তিনি সকালেই খবর শুনেছিলেন, কিন্তু ছিলেন ইয়াস বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে। বিকেলে সময় পেয়েই তিনি ছুটে এসেছেন। কেননা, মুকুল রায়ের স্ত্রী তাঁর মাতৃসমা। ছোটবেলা থেকেই তাঁকে ভাল বাসতেন। ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকেই তিনি সেখানে গিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। সঙ্গে থাকা মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও একই কথা বলেন। হাসপাতালে যাওয়ার কারণে তিনি অভিষেকের প্রশংসাও করেন। যা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা।
কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে যান দিলীপ ঘোষ
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু সেই সময় হাসপাতালে ছিলেন না শুভ্রাংশু রায়। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, মুকুল রায়ের স্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। ওই পরিস্থিতিতে রোগী আত্মাীয়দের পাশে থেকে মনোবল বাড়ানো দরকার। আর অভিষেকের সেখানে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূর্ব পরিচিতরা সেখানে যেতেই পারেন।
দিলীপ ঘোষকে নিয়ে 'বেসুরো' মুকুল
এদিন মুকুল রায়কে ঘটনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ কোথায়, কেন গিয়েছিলেন তা তিনি জানেন না। কেননা দিলীপ ঘোষ যে সময় হাসপাতালে গিয়েছিলেন, সেই সময় শুভ্রাংশুও সেখানে ছিলেন না। তিনি আরও বলেন, দিলীপ ঘোষের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি, যোগাযোগ হয়নি, যে কেউ হাসপাতালে যেতে পারেন, দেখা করতে পারেন, তাতে আপত্তির কিছু নেই। মুকুল রায় আরও বলেন, তাঁর স্ত্রী অসুস্থ। এমন সময় যাঁরা তাঁকে দেখতে গিয়েছেন, তাঁদের তিনি প্রণাম জানাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে প্রতিক্রিয়া
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোন করা প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব, তাঁদের সহকর্মীকে ফোন করেছিলেন। কেননা তিনি ও তাঁর স্ত্রী অসুস্থ। আর স্ত্রীর অবস্থা খুবই খারাপ। মুকুল রায় জানান, এদিন সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ফোন করে খোঁজখবর জানতে চান। প্রধানমন্ত্রী এবং দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ফোন পেয়ে তিনি যে খুশি, তা ধরা পড়েছে মুকুল রায়ের কথায়।