নির্বাচনের পরে ফের নিয়োগ বীরেন্দ্রকে
বর্তমানে রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্র। নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরুর পরে নির্বাচন কমিশন তাঁকে সরিয়ে সরিয়ে দিয়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে আসার পরে ফের বীরেন্দরকেই ডিজি পদে নিয়োগ করেন। এবার বীরেন্দ্রর নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যপাল। ২০০৬ সালে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা উল্লেখ করে রাজ্যপাল এব্যাপারে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন সরকারের কাছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উল্লেখ
রাজ্যে ডিজিপি নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বলেছেন, ইউপিএসসির প্যানেল থেকে একজনকে বেছে নিতে হবে। কোনও রকমের ভারপ্রাপ্ত ডিজিপি কিংরা অস্থায়ী ভিত্তিতে ডিজিপি নিয়োগ করা যাবে না। তিনি আরও বলেছেন, এব্যাপারে ২০১৯-এর ১৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে।
বর্তমান ডিজির অবসরের তিনমাস আগে নাম পাঠাতে হবে
অপর একটি টুইটে রাজ্যপাল বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান ডিজিপি অবসর নেবেন ৩১ অগাস্ট। এই ডিজিপির অবসর নেওয়ার তিন মাসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে এব্যাপারে তাদের প্রস্তাব পাঠাতে হবে। আর যাঁদের নাম দেওয়া হবে, তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ যেন অন্তত ছয়মাস থাকে। রাজ্যপাল টুইটে বলেছেন, ডিজিপি পদের জন্য যাঁরা উপযুক্ত, যাঁরা ২০২২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে অবসর নেবেন, তাঁদের নাম ২০২১-এর ১ জুনের আগে পাঠানো উচিত।
আগে ডিজিপিকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল
তবে শুধু এদিনই নয়, এর আগেও বীরেন্দ্রকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। তাঁকে রাজভবনে তলবও করেছিলেন। রাজ্যপালের এই আচরণে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে অপমান করা হচ্ছে।
এর আগে ২৮ মে কলাইকুণ্ডায় প্রধানমন্ত্রীর ডাকা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর হাজির না হওয়া নিয়ে তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নির্দিষ্ট কর্মসূচির কথা বলে বৈঠক এড়িয়ে যেতে চাইলেন, রাজ্যপাল আগের রাতে মুখ্যমন্ত্রীর বার্তার কথা উল্লেখ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সেই সময়ই তাঁকে বৈঠক বয়কটের ইঙ্গিত করেছিলেন।