বেআইনিভাবে মজুত করোনার জীবনদায়ী ওষুধ! হাইকোর্টে ড্রাগ কন্ট্রোলারের নিশানায় গৌতম গম্ভীর

করোনা আবহে অমূল্য ওষুধ বেআইনিভাবে মজুতের বিষয়ে ধরপাকড় শুরু করেছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে সম্প্রতি কাঠগড়ায় উঠেছেন প্রাক্তন ক্রিকেট খেলোয়াড় গৌতম গম্ভীর। কোভিডের গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ ফাবিফ্লু মজুত করায় গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে তদন্তের ডাক দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। অবশেষে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোল বিভাগ বৃহস্পতিবার গৌতম গম্ভীরের ফাউন্ডেশনকে দোষী সাব্যস্ত করে নথি তুলে দিয়েছে আদালতের হাতে। এমন ভয়াবহ সময়ে অসাধু উপায়ে ওষুধ মজুতের করার জেরে ড্রাগ আইনের বলে দোষী গৌতম গম্ভীর, এমনটাই জানিয়েছেন ড্রাগ কন্ট্রোলারের আইনজীবী নন্দিতা রাও। স্বভাবতই চরম অস্বস্তিতে পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ।

দৃষ্টান্ত স্থাপনের পথে দিল্লি হাইকোর্ট

বিজেপি সাংসদ ছাড়াও বেআইনিভাবে ওষুধ মজুতের কারণে দোষীর তালিকায় রয়েছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ প্রবীণ কুমার। করোনা আবহে অসাধু ব্যবসায়ী ছাড়াও বেআইনিভাবে নিজের ক্ষমতাকে হাতিয়ার করে ওষুধ মজুত করেছেন বহু নামিদামি ব্যক্তিত্ব। স্বভাবতই বাজারে টান পড়েছে ওষুধের। এহেন অবস্থায় একরকম বাধ্য হয়েই আসরে নামে দিল্লি হাইকোর্ট। "প্রবীণ কুমার ও গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিক ড্রাগ কন্ট্রোলার, যাতে জনসাধারণ এ ঘটনাটিকে মনে রাখে", এমনই নির্দেশ দিয়েছে রাজধানীর উচ্চ আদালত।

পরবর্তী বিস্তারিত শুনানি ২৯শে জুলাই

আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি বর্তমান অবস্থার বিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলারকে। সূত্রের খবর, তথ্যের অধিকার আইনের (পিআইএল) বলে গম্ভীর ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জারি হওয়া মামলার বিষয়ে জানতে চান দীপক কুমার নামক জনৈক ব্যক্তি। এরপরেই তৎপর হয়ে ওঠে দিল্লি হাইকোর্ট। ৭ই মে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন অক্সিজেন ও ফাবিফ্লুর ন্যায় কোভিডের গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ মজুতের বিষয়ে দিল্লি পুলিশের হস্তক্ষেপ দাবি করে আদালত। পুলিশ গম্ভীর ও জড়িত আরও ৯ জনকে ক্লিনচিট দেওয়ার পর আদালত ড্রাগ কন্ট্রোলারকে স্বাধীনভাবে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দেয় বলে খবর সূত্রের।

গম্ভীরকে বাঁচানোর চেষ্টা দিল্লি পুলিশের?

৩১শে মে আদালতে নথি পেশ করে ড্রাগ কন্ট্রোলার। নথি অনুযায়ী, ২২শে এপ্রিল-৭ই মের মধ্যে গর্গ হাসপাতালের সাহায্যে একটি মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে গৌতমের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। রাওয়ের মতে, প্রেসক্রিপশন না থাকার পরেও ১৯শে এপ্রিল হাসপাতালের তরফে যে চিঠি পাঠানো হয় গৌতম গম্ভীরকে, তাতে স্পষ্ট যে অনুমোদিত ডিলারের থেকেই ওষুধ ক্রয় করছেন গম্ভীর। এ প্রসঙ্গে ড্রাগ কন্ট্রোলারকে সরাসরি ভর্ৎসনা করে আদালত। বেআইনি ওষুধ ক্রয়ের বিষয়ে গম্ভীরকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে, মত আদালতের বিচারপতিদের!

"টাকা থাকলেই যথেচ্ছ ওষুধ কেনা যাবে না!"

"এই অব্যবস্থা বন্ধ করতেই হবে। টাকা থাকলেই যে যতখুশি ওষুধ মজুত করা যাবে না, তা বোঝাতে হবে সকলকেই", কড়া বার্তা দেন দিল্লির উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের। গৌতম গম্ভীরকে সরাসরি আদালতের তরফে জানান হয়, "মানুষের সাহায্যের জন্য আপনি ওষুধ কিনেছেন। কিন্তু এইভাবে বিশাল পরিমাণ ওষুধ কেনার জন্য যাঁদের সত্যিই প্রয়োজন, তাঁদের আপনি বঞ্চিত করেছেন।"

উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় দেশে সব রাজ্যকে টেক্কা দিল বাম শাসিত কেরল! নীতি আয়োগের রিপোর্ট কী বলছেউন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় দেশে সব রাজ্যকে টেক্কা দিল বাম শাসিত কেরল! নীতি আয়োগের রিপোর্ট কী বলছে

More GAUTAM GAMBHIR News  

Read more about:
English summary
Drug controller targeted Gautam Gambhir in Delhi High Court for illegal stockpiling of corona drugs