
দু’মাসে ৫৪ জনের টিকা
এই কোভালাম গ্রামে ১৪,৩০০ জনের বসবাস, যার মধ্যে ৬,৪০০ জন ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে। সম্প্রদায়ের মানুষদের জন্য সহায়তা করা এসটিএস ফাউন্ডেশনের সুন্দর জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধা তৈরি হওয়ার কারণে এই গ্রামের মাত্র ৫৮ জন টিকাকরণ করিয়েছে গত দু'মাসে। টিকাকরণের সংখা ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে এই উদ্বেগ থেকে ভ্যাকসিন নিয়ে এই সংশয় দূর করার জন্য সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে মানুষের সহায়তা করেন এমন ব্যক্তিরা পরিকল্পনা করছেন কীভাবে এই সমস্যা দূর করা যায়।
লাকি ড্র–এর ব্যবস্থা
সেই লক্ষ্য নিয়েই ওই এলাকার সিএন রামদাস ফাউন্ডেশন, এসটিএস ফাউন্ডেশন ও চিরাজ ট্রাস্ট একসঙ্গে হাত মিলিয়েছে এবং টিকাকরণ করাতে যাতে বেশি করে মানুষ এগিয়ে আসেন তার জন্য আকর্ষণীয় প্রস্তাবও রেখেছে। এই প্রস্তাবটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এই তিন ফাইন্ডেশনের টিম সাপ্তাহিক লাকি ড্র-এর বন্দোবস্ত করেছে এবং যেখানে তিনজনের নাম উঠলে তাঁরা পেয়ে যাবে, মিক্সার, গ্রাইন্ডার ও ২ গ্রামের সোনার কয়েন। এখানেই শেষ নয় রয়েছে বাম্পার ড্র, যেখানে না উঠলে ভাগ্যে জুটে যাবে ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং এমনকী স্কুটারও।
গ্রামবাসীদের বিরিয়ানি দেওয়া হচ্ছে
এই নতুন উদ্যোগ নেওয়ার পরই তা ম্যাজিকেরর মতো কাজ করেছে, টিকাকরণ করাতে মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তিনদিনে ৩৪৫ জন মানুষ টিকা নিয়েছেন। সুন্দর বলেন, ‘গত তিনদিনে আমারা ৩৪৫ জনকে টিকা দিয়েছি এবং লাকি ড্র-এর পরিকল্পনাটি বহু মানুষকে আকর্ষিত করছে। গ্রামবাসীরা ভ্যাকসিন কেন্দ্রে টিকা নিতে আসছেন বিরিয়ানি ও লাকি ড্র-এর জন্য। সুতরাং, এটি মডেল ধারণা যা ভালভাবে কাজ করেছে এবং অবশ্যই এটা আমাদের সফলতা।'
লক্ষ্য কোভিড মুক্ত কোভালাম
সিএন রামদাস ফাউন্ডেশনের গোথাম রামদাস এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কোভালামকে কোভিড মুক্ত করাই আমাদের লক্ষ্য। এখানে ৭ হাজার জন বাসিন্দা রয়েছেন যারা টিকা নেওয়ার যোগ্য। আমাদের লক্ষ্য হল যত দ্রুত সম্ভব কোভালামকে ১০০ শতাংশ টিকাকরণ করিয়ে ভারতের জন্য নজির গড়ে তোলা, এটা দেখানো যে পুরো জনসংখ্যার মধ্যে থেকে টিকা নিয়ে দ্বিধা দূর করা সম্ভব। এছাড়াও বিরিয়ানির লোভেও মানু্য এখানে আসছেন যা কিছুটা হলেও হাসপাতালের পরিবেশ থেকে এই পরিবেশকে হাল্কা করেছে।' এই টিমের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে বেশি করে টিকাকরণ করানোর যাতে ভারতের প্রথম ১০০ শতাংশ টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কোভালামের নাম উঠে আসে।