টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি পাইকারি হিসাবে একসঙ্গে অনেক বেশি অর্ডার দিলে বেশি ডিসকাউন্ট দিয়ে করোনার ওষুধের জোগান দিচ্ছে। কেন্দ্রের এই ব্তব্যকেই হাতিয়ার করে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে যে তাহলে কেন রাজ্য সরকারগুলির হাতে করোনার ওষুধ কেনার সুযোগ ছেড়ে রেখে কেন্দ্র সব রাজ্যের হয়ে একত্রিতভাবে নিজেরা অর্ডার দিচ্ছে না। তাদের যুক্তি অনুযায়ী তাহলে তো বেশি ছাড় পাওয়া যাবে দামে। এই প্রশ্নই এদিন কেন্দ্রের সামনে রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
ঘটনা হল, কেন্দ্র করোনার ডোজ যেখানে ১৫০ টাকায় কিনতে পারে সেখানে রাজ্যগুলিকে ওই একই ডোজ ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। যার প্রেক্ষিতেই বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় এই প্রশ্নের বেঞ্চ এই প্রশ্ন তুলেছে। এক্ষেত্রে সংবিধানের ১৪ নম্বর ধারার কথাও সামনে এসেছে যেখানে সকলের সমানাধিকারের কথা বলা রয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালতের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, কেন্দ্র সরকার ভ্যাকসিন কিনতে ৩৫ হাজার কোটি টাকার বাজেট ইতিমধ্যে ধার্য করেছে। কিন্তু রাজ্যগুলির সেই বাজেট নেই। আচমকা এই বাজেটের বোঝা তাদের ঘাড়ে চেপে বসেছে।
এদিন আদালত বাজেটে ধার্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা কীভাবে টিকা প্রদানে খরচ হয়েছে তা জানতে চেয়েছে এবং ১৮-৪৪ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে এই বাজেট কেন কাজে লাগানো হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
এর পাশাপাশি টিকা প্রদান নিয়ে কেন্দ্র সহ রাজ্যগুলির কাছেও একাধিক বিষয়ে জানতে চেয়েছে শীর্ষ আদালত। কোনও রাজ্যের সরকার যদি বিনা পয়সায় তাদের জনগণকে টিকাদান করতে চায়, সেটাও আদালতের গোচরে আনতে হবে যার ফলে সেরাজ্যের মানুষ আশ্বস্ত হতে পারে বলে আদালতের তরফে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।