সপ্তাহে করোনার দৈনিক সংক্রমণে বেশ খানিকটা পারাপতন লক্ষ্য করা গেলেও গত দু-দিনে আবার তা বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে এপ্রিল কুম্ভমেলার পর থেকে গোটা উত্তরাখণ্ডেই বাড়তে থাকে করোনা উদ্বেগ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার কবলে পড়েন প্রথমসারির কোভিড যোদ্ধারাও। এদিকে পরিসংখ্যান বলছে এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এই পার্বত্য রাজ্যে করোনার কবলে পড়েছেন ২ হাজারে বেশি পুলিশ কর্মী। তার জেরেই ফের বাড়ছে উদ্বেগ।
শুধু সংক্রমণ নিয়ে নয় উদ্বেগ বাড়ছে করোনা টিকা নিয়েও। সূত্রের খবর, যে ২ হাজার ৩৮২ জন পুলিশ এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে করনোর কবলে পড়ছেন তাদের সিংহভাগেরই টিকাকরণ সম্পন্ন হয়েছিল। টিকা পেয়েছেল আক্রান্তদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ পুলিশ। কিন্তু তারপরেও তাদের শরীরে কী ভাবে কামড় বসাল মারণ করোনা তাই ভাবাচ্ছে সকলকে।
এমনকী একটি ডোজ না প্রত্যেকেই করোনা টিকার দুটি করে ডোজই নিয়ে ফেলেছিলেন বলে খবর। কিন্তু তারপরেও রেহাই মিলল না করোনার কবল থেকে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে এই সময়ের ব্যবধানে যতজন পুলিশ করোনা আক্রান্ত হন তাদের মধ্যে ২ হাডার ২০৪ জন ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গিয়েছে। মারা গিয়েছেন ৫ জন। যদিও মৃতদের মধ্যে ২ জনের কোমরবিডিটি ছিল বলেও জানা যাচ্ছে।
সামান্য বাড়ল ভারতের দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যুর পরিসংখ্যান অনেকটাই নিম্নমুখী
বাকি যে তিন পুলিশ কর্মী মারা গিয়েছেন তাদের করোনা টিকাকরণ হয়নি বলে খবর। এদিকে পুলিশ কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৭৫১ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যাদের মধ্যে ৬৪ জন মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েছেন। এদিকে প্রথম পর্বের করোনাকালে ১৯৮২ পুলিশ কর্মী এই রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হন বলে জানা যায়। মারা যান ৮ জন।