ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণের টাকা
ঝড়ের সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার তাজপুরে নদীবাঁধ পরিদর্শন করেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। যান ত্রাণ শিবিরেও। সেখানে থাকা মানুষকে সাংসদ আশ্বস্ত করে বলেন, '৯ থেকে ১০ তারিখের মধ্যেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ক্ষতিপূরণের টাকা।' পাশাপাশি সবরকম পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের পাশে আছে বলেও সাধারণ মানুষকে বার্তা দেণ অভিষেক। কেন মাত্র চার মাসের মধ্যেই নদীবাঁধ ভেঙে পড়ল তা নিয়ে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাংসদ। নাম না করেই শিশির অধিকারীকে এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী করেন তিনি। দুর্গতদের আশ্বস্ত করে জানান, দোষী অবশ্যই শাস্তি পাবেন। জানান, প্রশাসনের পাশাপাশি তৃণমূলর পক্ষ থেকেও বন্যা কবলিত মানুষের জন্য সবরকম সাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক।
শুরু হল রাজ্যে সরকারের দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি
আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি। প্রথম পর্যায়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য ৩৪টি ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। ১৮ জুন পর্যন্ত আবেদন পত্র নেওয়া হবে। এরপর আবেদনের ভিত্তিতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা করবে রাজ্য সরকার। এমনটাই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ছাড়া মেদিনীপুরেরও শুরু হয়েছে এই দুয়ারে ত্রাণ।
ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে ‘দুয়ারে ত্রাণ' প্রকল্পের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে আবেদন, তারপর আবেদন পত্রের যাচাই। দুর্নীতি নিয়ে প্রথম দিন থেকেই সতর্ক তিনি।আর সেদিকে তাকিয়েই মমতা জানিয়েছেন, ১ জুলাই থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে অর্থ। ২৭ মে প্রকাশিত সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১৯ থেকে ৩১ জুন পর্যন্ত জমা পড়া আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এরপর পয়লা জুলাই থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে সরকারি সাহায্যের টাকা।
কত সাহায্য করা হবে সেই তালিকা তৈরি
কোন ধরনের ক্ষতির ক্ষেত্রে, কত সাহায্য করা হবে, তাও বলা হয়েছে নোটিসে। ফসল ক্ষতির ক্ষেত্রে কৃষক ১ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পাবেন। পানের বরজে ক্ষতির ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক পাবেন ৫ হাজার টাকা। ইয়াসের দাপটে বাড়ি পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ২০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা সাহায্য করা হবে। মত্স্যজীবীদের কথা মাথায় রেখে, তাঁদের নৌকা সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে ১০ হাজার টাকা এবং নৌকা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মত্স্যজীবীদের অন্যান্য সরঞ্জামের ক্ষতি হলেও ৩০০ থেকে ২৬০০টাকা পর্যন্ত সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে। ঝড়ের দাপটে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আওতায় থাকাদের ক্ষতির ক্ষেত্রেও ৪ হাজার ১০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হবে।