কলকাতা: প্রত্যেক বছর ৩ জুন সমগ্র পৃথিবীতে পালিত হয় বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস (World Bicycles Day)। রাষ্ট্র সংঘের (United Nations) জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে ১৬ই এপ্রিল, ২০১৮ সালে একটি প্রস্তাব পাশ হয়। সেখানেই ৩ জুন বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ব বাইসাইকেল দিবসে সাইকেল চালানোর ফলে শারীরিক উপকারীতা, রোগ প্রতিরোধে এগিয়ে থাকা এবং দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ে তোলার বিষয়টি প্রচার করার সিদ্ধান্ত হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে সাইকেল চালানো সব বয়সের ব্যক্তিদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর একটি অভ্যেস। প্রায় দুই শতক ধরে বাইসাইকেলের (Bicycle) ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশ্ব বাইসাইকেল দিবস আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে কেনো বাইসাইকেল পরিবহনের অন্যতম একটি শ্রেষ্ঠ উপায়। কারণ বাইসাইকেল তুলনামূলক ভাবে অন্য দুচাকার যা বাইক (Bike), স্কুটারের (Scooter) থেকে দামে অনেক কম, বাইসাইকেল পরিবেশ বান্ধব কারণ সাইকেল চালানোর জন্য কোনো জ্বালানি তেলের প্রয়োজন হয় না এছাড়াও বাইসাইকেল (Bicycle) চালানো স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।

বাইসাইকেল কেন আমাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য ভালো তার কয়েকটি কারণ জেনে নেওয়া যাক

১. বাইসাইকেলের ব্যবহার বেশি মাত্রায় শুরু হলে গ্রিন হাউস গ্যাস (Green house gas) নির্গমনের মাত্রা কমে যাবে।

২. বেশি মাত্রায় সাইকেল চালানোর ফলে বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইডের মতো ক্ষতিকর গ্যাস বৃদ্ধির মাত্রা কমে যাবে।

৩. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) মতে সাইকেল চালানো স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী।

৪. সাইকেল চালানোর ফলে পেশী শক্তি বৃদ্ধি পায়, শরীরের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায় এবং হার্ট ভালো থাকে। এছাড়া সাইকেল চালানোর ফলে মানসিক চাপের (strees level) কমে এবং শরীরের যাবতীয় জোড় গুলি ভালো থাকে।

৫. এই করোনা সংক্রমণের সময় অনেকেই নিজের কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় গণপরিবহন এড়িয়ে চলতে চাইছেন কারণ সেক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়তে পারে। সেই ক্ষেত্রে আপনি নিজের গন্তব্যে যেতে ব্যবহার করতে পারেন সাইকেল। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা যেমন কমবে তেমনই স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।

৬. সাইকেল চালালে মাসের শেষ আপনি বেশ কিছু অর্থ বাঁচাতে পারবেন। কারণ এটি চালানোর জন্য কোনো রকম জ্বালানি খরচ হয়না, এবং সহজেই বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য এটি ব্যবহার করা যায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.