কলকাতা: রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়া হা কোয়াগুলেশন (Coagulation) শরীরের একটি জরুরি প্রক্রিয়া যা গুরুতর চোট বা আঘাত পেলে রক্তপাতের প্রবণতা কমায়। যখন কোনো ব্যক্তি জখম হন তখন সংশ্লিষ্ট স্থানে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপাত প্রতিরোধ করে। এটা একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সমস্যা তখন হয় যখন রক্তনালীতে (blood vessel) কোনো কারণ ছাড়াই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। এর ফলে হৃদপিণ্ডে (heart) প্রয়োজনীয় অক্সিজেন (oxygen) পরিবহনে সমস্যা হয়, এবং ফুসফুসের ক্ষতি করে।

আমাদের রক্ত তরল প্রকৃতির, কিন্তু রক্ত জমে গেলে সেটি একটি পিন্ড আকৃতি ধারণ করে। চোটের সময় রক্ত জমাট বাঁধা জীবন বাঁচাতে সাহায্য করলেও, কোনো কারণ ছাড়া রক্ত জমাট বেঁধে গেলে মৃত্যু অবধি হতে পারে। রক্ত জমাট বেঁধে গেলে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার বেশ কিছু শারীরিক উপসর্গ (symptoms) রয়েছে। সেই গুলি হল-

১. রক্ত মূলত হাত ও পায়ের শিরাতে জমাট বাঁধে। একে ডিপ ভেইন থ্রমবসিস (Deep vein Thrombosis) বলে। এই ধরনের রক্ত জমাট বাঁধা খুবই ভয়াবহ, কারণ এরা সহজেই হার্ট বা ফুসফুসে পৌঁছতে পারে । ফোলা ভাব, যন্ত্রণা, সংবেদনশীলতা বা সেই স্থান বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার মত লক্ষণ দেখা দিতে পারে ।

২. সাধারণত হৃদপিণ্ডে রক্ত জমাট বাঁধে না। কিন্তু এটা অসম্ভব নয়। হার্টে রক্ত জমাট বাঁধলে হার্ট এ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বুক ব্যথা, নিঃশ্বাসে সমস্যা হার্টে রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ।

৩. ডিপ ভেইন থ্রমবসিস (Deep vein Thrombosis) থেকেই ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার সূত্রপাত হতে পারে। হাত ও পায়ের জমাট বাঁধা রক্ত যখন ফুসফুসে পৌঁছায় তখন তাকে পালমোনারি এম্বলিজম (Pulmonary Embolism) বলে। এই ধরনের রোগীর ক্ষেত্রে নিঃশ্বাসে অসুবিধা, বুকে ব্যাথা, কফের সঙ্গে রক্ত নিঃসরণের মত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

৪. অন্ত্রের শিরাতে রক্ত জমাট বাঁধতে পারে। মূলত লিভারের সমস্যার জন্যই এটা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে পেটে ব্যাথা, ডায়ারিয়া, মলের সঙ্গে রক্ত নিঃসরণের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.