কুণাল বিচার করতে পারবে না
শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ কেন খারিজ করা হচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে এদিন ফোনে কথা বলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে শিশির অধিকারী বলেন, এব্যাপারে যেখানে উত্তর দেওয়ার সেখানে দেবেন। করোনার কারণে তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন। আর তার সুযোগ নিচ্ছে তৃণমূল এই কথাও বলেছেন তিনি। অনেক পদ ছেড়েছেন, প্রয়োজনে এই পদও তিনি ছেড়ে দিতে পিছপা হবেন না বলেই জানিয়েছেন।
শুভেন্দুর বুকের পাটা আছে
দিন কয়েক আগে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথিতে ওঠা ত্রিপল চুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী বলেন, অভিযোগ হাস্যকর। কেননা তাঁরা সেখানকার দায়িত্ব ছেড়েছেন অনেক আগে। নারদ মামলায় শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার না করা প্রসঙ্গে শিশির অধিকারীর বলেন, এর পিছনে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। আর তোয়ালেতে মুড়ে টাকা নেওয়ার প্রসঙ্গে শিশির অধিকারী বলেন, সে তো আর ঘুষ নেয়নি। শুভেন্দুর বুকের পাটা আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া
এদিন দিঘা-শঙ্করপুর ঘুরে দেখার পরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মানুষের টাকা নয়ছয় করা হয়েছে। এব্যাপারে তিনি যাঁরা দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্যদের দায়িত্বে ছিলেন, নাম না করে শিশির অধিকারীকে নিশানা করেন। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তিনি বলেন, সাবালক নেতা এমন কাজ করেছে, যাতে নাবালক নেতাকে আসতে হচ্ছে।
ওই দলে নেই
শিশির অধিকারী নিজের অবস্থান এদিন স্পষ্ট করে বলেছেন, তাঁদের দলে নেই বলে এখন যা খুশি তাই বলছেন। যাঁদের নিয়ে অভিষেক ঘুরছেন, বিশেষ করে বিধায়কের (নাম করেননি অখিল গিরির) কথা উল্লেখ করেন তিনি। শিশির অধিকারীর আরও অভিযোগ কন্ট্রাক্টরের তালিকা তো বিধায়কই তৈরি করেন। সেখানে ২৪ ঘন্টাই বসে থাকতেন ওই বিধায়ক। তদন্তে তিনি ভয় পান না জানিয়ে শিশির অধিকারী বলেন, দুর্নীতি থাকলে ধরুন। ২০৫ কোটির প্রকল্পে ৭০ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছিল।
ডানে-বায়ে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই তো দায়িত্বে
এনিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি বলেন অভিষেক যে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, সেটা কোনও সরকারি জমি নয়। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জমি নিয়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও তিনি বলেন, এখনও কাজই শেষ হয়নি। শীতে কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর পর্ষদের দায়িত্বে, তিনি তো ছিলেন মাথায়। আর তিনি একাও সেখানকার দায়িত্বে ছিলেন না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডানে-বাঁয়ে যাঁরা আজ রয়েছেন, তাঁরাই এই কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যুক্ত ছিলেন সরকারি আধিকারিকরা। শিশির অধিকারী প্রশ্ন করেন, ক্লোরোফর্ম দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে কি কাজ হয়েছে? তিনি বলেন, বাজে কথা বলার সৎসাহস তাঁর নেই। আর ভাল কাজ করেছেন বলেই সমালোচনা করা হচ্ছে।