কলকাতা: বিগত কয়েক মাস ধরে একের পর এক চমক দিয়ে নেটিজেনদের প্রশংসার শীর্ষে অবস্থান করছেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty)।অভিনয় ছাড়া এনজিও- এর সঙ্গে যুক্ত থেকে বিশেষভাবে সক্ষম বাচ্চা,পথশিশু ও অনাথ বাচ্চাদের জন্য কাজ করেন অভিনেত্রী। নারী সচেতনতার জন্য বিভিন্ন কাজ করেই থাকেন তিনি। গত বছরই কলকাতার বিভিন্ন পাবলিক লেডিজ টয়লেটে স্যানিটারি ন্যাপকিন রাখার কাজ শুরু করেন তিনি। এক বছর কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও ৮০টির‌ও বেশি পাবলিক লেডিজ টয়লেটে ভেন্ডিং মেশিন বসানোর কাজ সম্পূর্ণ করেছেন। ঋতাভরীর লক্ষ্য, শহরের প্রতিটি সাধারণ শৌচাগারে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো । দেশের প্রথম শহর হিসাবে গড়ে তোলা, যেখানে শহরের প্রতিটি পাবলিক টয়লেটে বিনামূল্যে প্যাড পাওয়া যাবে । তাতে শুধু আপদকালীন পরিস্থিতিতেই নয় যাঁদের সামর্থ্য নেই এমন মহিলারাও যেন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করতে পারবেন প্রয়োজন মতো ।

তবে এবার থেকে যাঁরা কোভিডের সঙ্গে লড়াই করছেন, তাঁদের মানসিক খেয়াল রাখতে প্রস্তুত হলেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন ঋতাভরী। তিনি লেখেন, ‘একটা বছর ধরে আমাদের সবার ওপর দিয়ে একটা দুঃসময় চলেছে। কোভিড প্যান্ডেমিক, তার জন্য লকডাউন, কাজ বন্ধ, স্কুল কলেজ পরীক্ষা বন্ধ, বন্ধ আমাদের সামাজিক মেলামেশার স্বাভাবিক জীবন।যেন একটা অন্ধকার টানেলের মধ্যে ঢুকে পড়েছি। এর ফলে কম বেশি সকলেই মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। যারা প্রিয়জন হারিয়েছে, নিজেরা ভুক্তভোগী বা এই পরিস্থিতিতে দমবন্ধ অবস্থা বোধ করছে, সবার দিকেই আমি হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তোমাদের সব রকম মনোকষ্টে, হতাশায়, মনের জোর হারানো একাকীত্বের সুরাহা করতে চাই। কথা বলো মনোবিদ ও বিশেষজ্ঞদের সাথে। কোন খরচ দিতে হবেনা। তার জন্য আমি আছি, আমার বন্ধু রাহুল দাশগুপ্ত আর ‘সহায়তা’ আছে। কল করো: ১৮০০২০৩৯৮৬৫। এই অন্ধকার টানেলটা থেকে বেরিয়ে আসার একটা যৌথ প্রচেষ্টা!! মন ভালো থাকলে পৃথিবীটাই সুন্দর হবে!! ঋতাভরী চক্রবর্তী।’

সোমবার থেকে শনিবার দুপুর বারোটা থেকে আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে এই হেল্পলাইন। অভিনেত্রী মিষ্টি হাসির পাশাপাশি তার এই সামাজিক চেতনা অনেক বেশি। তাই ট্রোলিং-এ তার নাম থাকেনা, থাকে সমাজের অন্ধকার দিক গুলোকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাটিং।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.